নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের দখল নিয়ে মালিক পক্ষের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, মালিক সমিতির সর্বশেষ আহবায়ক অধ্যাপক আবু আহমেদের নেতৃত্বে সকালে শ্রমিকরা টার্মিনালে গেলে বর্তমান দখলে থাকা অনির্বাচিত সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু ও তার সদস্যদের সাথে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। এসময় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনা জানার পর পরই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ টার্মিনালে অবস্থান নিয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্যাও ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে টার্মিনালের অফিস কক্ষে সীলগালা করে দেন।
সাতক্ষীরার সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে আরো জানান, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত মালিক সমিতির অফিস সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রার্থীদের কাছে সমিতির কার্যালয় হস্তান্তর করা হবে। সে অনুযায়ী সমিতির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাসমালিক সমিতির আহবায়ক অধ্যাপক আবু আহমেদ জানান, গত ৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে শহরের লেকভিউতে মালিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় নির্বাচনের তপশীল ঘোষণা করা হয়। এর পরদিন ৭ মে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্বাক্ষরকৃত ১৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং ঐ কমিটি টার্মিনাল দখল করে নেয়। অধ্যাপক আবু আহমেদ আরো জানান, সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বাধীন ঐ কমিটি কোন কারণ ছাড়াই বাস মালিক শেখ জামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গির হোসেন, নাছের উদ্দিন, কবির হোসেনসহ বিভিন্ন মালিকদের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
তবে, সাইফুল করিম সাবু সমর্থক গ্রুপের লোকজন জানান, আবু আহমেদের নেতৃত্বেই ১০/১২ জন এই হামলা করেছে। এই হামলায় সাইফুল করিম সাবুসহ তাদের পক্ষের ৩ জন আহত হন।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে
পূর্ববর্তী পোস্ট