নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন -পরিবেশ রক্ষা কমিটি সাতক্ষীরা জেলার আয়োজনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলা বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ঢালী। সদস্য সচিব মফিজুর রহমানের পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী, বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন -পরিবেশ রক্ষা কমিটির আহবায়ক আবুল হোসেন খোকন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সামাদ, মাস্টার নাছির উদ্দীন, জি এম রেজাউল করিম রেজা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান টুটুল, আলাউদ্দিন, প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ২৭টি নদ-নদী, ৪২৯টি খাল, ২০৯টি বিল এবং ১৪২৩টি গ্রাম রয়েছে। কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, মরিচ্চাপ, কাকশিয়ালী, যমুনা, লাবণ্যবতী, ইছামতিসহ ১১টি ছোট বড় প্রবাহমান নদী নির্ভরশীল তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করে প্রায় ৫০লক্ষ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তন পরিবেশ সমস্যায় উপকূলীয় নদনদী গুলোদ্রুত পলিজমে ভরাট হয়ে গেছে। বক্তারা মাছখোলায় বেতনানদীর চর দখল করে দুই পাড়ে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এসব ভাটাগুলো কারণে অত্র এলাকার মানুষ পানি বন্দি হয়েছে। অবিলম্বে এসব ভাটাগুলো বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
দাবি সমূহ : ১৯৬২,১৯৭২, ১৯৯২ মাপ জরিপ অনুযায়ী নদী ও খাল খনন কর। নদী খাল খনন করে প্রত্যেক নদী খালের সাথে জোয়ার ভাটার ব্যবস্থা করতে হবে। নদী ও খালের পাশের্^ অবৈধ উচ্ছেদ জরুরি ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণআদালতের মাধ্যমে করতে হবে। খাল ও নদীর ধারে বসবাসকারী অসহায় গরিব মানুষগুলোকে উচ্ছেদের পূর্বে পূর্নবাসন করতে হবে। সড়ক গ্রামীণ সড়ক ও নদীর প্রশাস্ত ঠিক রাখিয়া কাঁচা পাকা স্থাপনা তৈরী কর। সড়ক গ্রামীন সড়ক ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। নদী খালের পানি কোন ভাবেই আবদ্ধ করা যাবে না। সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক তৈরীর সময় নদী খাল উপর ব্রীজ কালভার্ট দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করিয়া নদীর খাল প্রস্থ ঠিক রাখা। নদী খাল ল্যাবতা বৃদ্ধির জন্য সরকারী বরাদ্দ করিয়া খনন করতে হবে। নদী খাল সড়ক গ্রামীণ সড়ক ও বন পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। সড়ক ও গ্রামীণ সড়ক পাশের্^ নির্দিষ্ট (১০ফুট) দূরে ভেড়িবাধ দিয়ে বের করতে হবে। বেতনা নদীর ধার দিয়ে ইট ভাটার নদীর চর ও অবৈধ দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে। । তামাক পাতা প্রসেসিং বেকারী ইট-ভাটা হোটেল রেস্তরায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। গাছ বন রক্ষা করে কাঠের বিকল্প জ¦ালানি হিসাবে গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামীণ সড়কে যানবাহনে গ্যাস ব্যবহার করে ও শিষা মুক্ত জ¦ালানী ব্যবহার করিয়া পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। নদী খাল সড়ক গ্রামীণ সড়ক ও বন পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। নিচু বিলগুলো উঁচু করতে টি আর এম চালু করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। জলাবদ্ধতার কারণে দরিদ্র সীমার নিচে থাকা হাজার হাজার অসহায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নদী খাল সড়ক গ্রামীণ সড়ক পাশের্^ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশে প্রতি মানুষের কাছে তিনটি করে গাছ লাগানোর জন্য অনুরোধ করছি। (ফলজ, বনজ, ঔষধী)।
জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ১৯ দফা দাবিতে মাছখোলা বাজারে পথসভা
পূর্ববর্তী পোস্ট