ক্রীড়া বিভাগ: ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের কিশোরী মার্জিয়া। এ বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বেও মার্জিয়া করেছেন তিনটি গোল।
সব ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে চূড়ান্ত পর্বে। বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে এখন চলছে মার্জিয়াদের গুণকীর্তন। তবে মার্জিয়াকে যে এই পর্যায়ে আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। অনেকেই হয়তো জানেন না, এখনো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মার্জিয়ার বাবা মোতালিব।
মেয়েদের ফুটবলের বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে বড় অবদান কলসিন্দুর গ্রামের। ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এই গ্রামের বেশ কয়েকজন ফুটবলার খেলেছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের অপরাজিত দলে। সবাই ছোটবেলা থেকে লড়াই করেছে দারিদ্র্যের সঙ্গে।
কলসিন্দুরের রাস্তায় এখনো রিকশা চালাতে দেখা যায় মার্জিয়ার বাবা মোতালিবকে। ফুটবলার মেয়ের চাহিদা অনুযায়ী খাবার জোগাতেও কষ্ট হয় তাঁর। কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে তাই তিনি বলেছেন, ‘তার (মার্জিয়া) খাওয়াদাওয়া সব কিছুই আলাদা করে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয়। সে খেলার জন্য অনেক পরিশ্রম করে। কিন্তু সে অনুযায়ী তাকে খেতে দিতে পারি না।’
ফুটবল মাঠে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যাদের অবস্থা উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী। মার্জিয়ার বাবা অবশ্য কিছু দাবি করেননি সরকারের কাছ থেকে।
সরকার নিজ ইচ্ছেয় কিছু করলে করবে, নিজে থেকে কোনো কিছু চাইবেন না- এমনটাই শোনা গেছে মোতালিবের কণ্ঠে, ‘আমরা আশা করি যে সরকার তাদের জন্য কিছু একটা করবে। কিন্তু আমরা কিছু চাইব না। চেয়ে আনব কেন? এখানে তো চাওয়ার কিছু নাই।’
পূর্ববর্তী পোস্ট