আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরায় নিজ স্ত্রীসহ দুই নারীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে স্বামী পঙ্কজ বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদ্বন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ্বন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি পঙ্কজ বিশ্বাস যশোরের চাঁচড়া রুপদিয়া এলাকার আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী পঙ্কজ বিশ্বাস শ্যামনগর উপজেলার গোদাড়া গ্রামে রাজমিস্ত্রি কাজ করার সুবাদে ওই গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর মেয়ে রহিমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর পঙ্কজ মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে রহিমাকে বিয়ে করার পর সেখানে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করে। একপর্যায়ে সে ০৪/০৩/২০০৮ তারিখে তার স্ত্রী রহিমা ও তার চাচাতো বোন হাবিবুল্লাহ গাজীর মেয়ে নার্গিস পারভীনকে নিয়ে তার গ্রামের যশোরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের ভারতে পাচার করে। অনেক খোঁজাখঁজির একপর্যায়ে রহিমার বাবা খালেক গাজী বাদী হয়ে আসামী পঙ্ক্জ বিশ্বাসসহ ৬ জনের নামে ১৪/০৩/২০০৮ তারিখে শ্যামনগর থানায় একটি পাচার মামলা দায়ের করেন। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৯/০৬/২০০৮ তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মঙ্গলবার বার এ মামলায় ছয়জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামী পঙ্কজ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদ্বন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ্বন্ড’র আদেশ দেন। তবে, এ মামলা অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলো।
পূর্ববর্তী পোস্ট