রাজনীতির খবর: আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস সামনে রেখে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৫৫ বছরের বেশি কেউ আর যুবলীগে থাকতে পারবেন না বয়সীরা যুবলীগে থাকতে পারবেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ সিদ্ধান্ত জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী যুব লীগের প্রথম কংগ্রেস হয়েছিল ১৯৭৪ সালে, এতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলুল হক মণি। ওই সময় যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বয়সসীমা ছিল ৪০ বছর। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কংগ্রেসে ওই বিধানটি বাতিল করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ৬৪ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী, বর্তমানে তার বয়স ৭১। এছাড়া সংগঠনে সিনিয়র নেতাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৬০ পার হয়েছে।
নতুন করে বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করায় এখন কেউ এই বয়স পেরোলে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটিতে থাকতে পারবেন না।
সম্প্রতি যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করে।ক্যাসিনাকাণ্ডে যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে। এই বৈঠকে তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। যুবলীগের সম্মেলনের আগে আলোচনায় আসে বয়সসীমা বেঁধে দেয়ার বিষয়টি। কারণ এই বয়সসীমার ওপর নির্ভর করবে আগামী কমিটিতে কারা নেতৃত্ব দেবেন। এরমধ্যে আজকের বৈঠকে বয়স নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হলো।