আবু ছালেক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামের মুক্তার আলীর পুত্র ইকরামুল ইসলাম লোভ করে রাস্তায় পড়ে থাকা টাকা নিতে যে হারাল পা। জানা গেছে গত ২১ অক্টোবর ব্যাংদহা বাজার থেকে বালি নিয়ে ট্রলি যাচ্ছিল গাভায়, ট্রলি ড্রাইভার জাহিদুল ইসলাম হেলপার আজহারুল ইসলাম বালি বোঝাই ট্রলি নিয়ে গাভা গ্রামের হুমায়ুনের বাড়িতে যাচ্ছিল, এরই মধ্যে ব্যাংদহা বাজার থেকে ইকরামুল ইসলাম বাজার করে বাড়িতে যাওয়ার কোন উপায় না পেয়ে, বালি বোঝাই ট্রলির উপর বাজার নিয়ে উঠে বসে,চলন্ত ট্রলির উপর থেকে দেখতে পায় গাভা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যাওয়ার সাথে সাথে রাস্তার উপর ১০০০ টাকার নোট ছড়িয়ে ছিটে রয়েছে দেখতে পাই, ইকরামুল লোভ সামলাতে না পেরে চলন্ত ট্রলির উপর থেকে লাফ দিয়ে পড়ে, চলন্ত অবস্থায় একরামুল টাকাগুলো একত্র করার সময় চলন্ত ট্রলি ইকরামুলের পায়ের উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় পা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেও একরামুল টাকা ছাড়েনি,কুড়াতে থাকে টাকা, স্থানীয় জনতা বলছে লোভে পাপ পাপে পা গেল একরামুলের, একরামুল বুঝতে পারেনি যে তার পায়ের উপর দিয়ে চলন্ত ট্রলি চলে গেছে। কারণ তার পায়ের হাড় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পা অবাস হয়ে যায় , আর চূর্ণ-বিচূর্ণ অবস্থায় একরামুল টাকা কুড়াতে থাকে, টাকা কুড়ানোর শেষপর্যায়ে দেখতে পায় তার পায়ের অবস্থা, স্হানিয় জনগন ইকরামুল কে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ বলাবলি করছে কখনো কেউ এত লোভ করতে যেও না, ইকরামুল লোভ করছে, তাই লোভে পাপ পাপে ইকরামুল হারালো তার পা, এমন ভাবে কেউ কোনদিন লোভ করবে না, নিজের ক্ষতি নিজে করবে না,নিজে সাবধান হতে হবে, অন্যদের সাবধান করতে হবে, বুধবার সকালে খোজ নিয়ে দেখা গেল পঙ্গুতে ইকরামুল ভর্তি রয়েছে শেষ পর্যন্ত হয়ত পা একে বারে কেটে বাদ দিতে হবে, ভবিষ্যতে সকলে সজাগ থাকবে এমন প্রত্যাশা ফিংড়ীর সকল সচেতন মহলের।
ফিংড়ীতে লোভে পাপ, পাপে পা গেল একরামুলের
পূর্ববর্তী পোস্ট