বিদেশের খবর: তিউনিশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ তার বিচারক স্ত্রীকে পাঁচ বছরের জন্য ছুটিতে যেতে বলেছেন।
তিনি বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তার স্ত্রী যতদিন ছুটিতে থাকবেন ততদিন তাকে কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না। কায়েস সাঈদ জানিয়েছেন, তিনি পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই সময়টায় বিচার বিভাগে তার স্ত্রীর উপস্থিতির কারণে ওই বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠুক তিনি তা চান না।
গত বুধবার আইনের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর কায়েস সাঈদ তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিউনিশিয়ার পার্লামেন্টে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৭২ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিউনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ অধ্যাপক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নাবিল কারুয়ি পেয়েছেন ২৭ দশমিক ২৯ শতাংশ ভোট।
শপথ নেওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন। স্ত্রীকে বিচার বিভাগের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তও তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।