দেশের খবর:
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রায় ১৬০০ জনের একটি তালিকা করেছে আওয়ামী লীগ। তালিকাটি সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি’র আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এই তালিকা করার কাজ ৬ মাস আগ থেকেই শুরু করেছিলাম। এটি করা হয়েছে যেন বিতর্কিত কিংবা কোন অনুপ্রবেশকারী কাউন্সিলে দলে জায়গা না পায়, সেটিকে সামনে রেখে।
দলীয় সূত্র এবং গোয়েন্দা সূত্রকে কাজে লাগিয়ে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন: বিতর্কিতদের যাতে অনুপ্রবেশ না ঘটে, সে জন্য সতর্ক আছি। অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দলীয় কার্যালয়ে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তথ্যমতে, প্রায় ১৬০০ বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীর নামের ওই তালিকা আলাদা আলাদা সেটে ফটোকপি করার কাজ চলছে। ফটোকপি শেষ হলে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে স্ব-স্ব ইউনিটের দায়িত্ব প্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের হাতে তালিকাটি তুলে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: তালিকা বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শাখা ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের ক্ষেত্রে তালিকা দেখেই ব্যবস্থা নেবেন, যাতে তালিকায় যাদের নাম আছে তারা আবারও অনুপ্রবেশ করতে না পারে।
ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, উপজেলা, জেলা, পৌরসভাসহ সব কমিটি গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে করতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন: কমিটি গঠনে গঠনতন্ত্রের ব্যত্যয় যেন না ঘটে। দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, পৌরসভা ও মহানগরে কাউন্সিল হচ্ছে। অনেক স্থানে কাউন্সিল শেষ হয়েছে। ২০টি জেলায় সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সারাদেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করা হয়েছে। এর আগে আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিনিধি সভা, রোডমার্চ করেছি। ২২ বছর পর কুমিল্লা মহানগর কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে সেখানে কোনো কমিটি ছিল না। নারায়ণগঞ্জ, ফেনীসহ এ পর্যন্ত ৩০টি স্থানে পূর্ণ কমিটি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন: আগামীকাল শুক্রবার থেকে সড়কে নতুন আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। আইনটি প্রয়োগের পর বোঝা যাবে সাধারণ মানুষের জন্য সেটা কতটা কার্যকর হবে।
তিনি আশা করেন, আইন মেনে চালকরা গাড়ি জালালে দুর্ঘটনা কমবে। রাস্তায় নসিমন-করিমনসহ ছোট ছোট গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ অনেকে।