নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দের নামে আপত্তিকর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করায় ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যানকে মারপিট ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে বৈকারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের জের ধরে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কাথন্ডায় সদ্য প্রয়াত বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফসার আলী দফাদারের কুলখানি অনুষ্ঠানে যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর, ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মোশাকে চেয়ার দিয়ে মারপিট করে।
এ ঘটনার জেরে ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর সদস্য সবুজ, রবিউল, শামিম, মনির, এনায়েত বিকালে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামানের বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং টাকা ও স্বংর্ণলংকার লুটপাট করে। এছাড়া সন্ধ্যার আগে ঘোনা গ্রামের মৃত কেরামত সরেদারের ছেলে করিম সরদার(৬৫), ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর(৫৫), কুদ্দুস আলী(৩৩), ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউসুফ আলী(২৮)’র উপর হামলা করে মারাত্মক জখম জখম করে।
সদর হাসপাতালে আহত যুবলীগ নেতা-কর্মীদের দেখতে যান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্যরা।
জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান বলেন, মোশাররফ চেয়ারম্যান জামায়াত বিএনপির লোকজনসহ রাম দা নিয়ে আমাদের ছেলেদের উপর হামলা করেছে, ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে, টাকা পয়সা লুণ্ঠন করেছে। জামায়ায়াত বিএনপির মদদদাতাদের উৎখাত করতে বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় আহতদের দেখতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা আহতদের সদর হাসপাতালে যান। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।