দেশের খবর: শহিদ নূর হোসেনকে নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরা। একজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি হিসেবে রাঙ্গার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তাকে সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সরকারি দলের সদস্যরা। তবে বিরোধীদলীয় সদস্যরা রাঙ্গার বক্তব্যকে তার নিজস্ব মতামত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, রাঙ্গার বক্তব্যের দায় নেবে না জাতীয় পার্টি। তবে এজন্য পার্টি লজ্জিত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান সংসদ সদস্যরা।
আলোচনায় অংশ নেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নজিবুল বশর মাইজ ভাণ্ডারী, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ, মুজিবুল হক চুন্নু প্রমুখ।
এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিরোধী দলের উপনেতা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তবে রাঙ্গা অনুপস্থিত ছিলেন অধিবেশনে।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, রাঙ্গা শুধু নূর হোসেনের বিরুদ্ধে নয়; স্বাধীনতা, সংসদ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, সবাইকে অপমান করেছেন। তাকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব থেকে রাঙ্গাকে বহিষ্কারের দাবিও তোলেন তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, রাঙ্গার এ বক্তব্য দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। এরশাদ সাহেবের কুকীর্তি ঢাকার জন্য একথা বলেছেন। এখন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক। তাকেও ক্ষমা চাইতে হবে। রাঙ্গা অর্বাচীন চিফ হুইপ। নিঃশর্তভাবে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাঙ্গার বক্তব্য বাংলার মানুষের হৃদয়ে ব্যথা দিয়েছে। তিনি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের ঘৃণা প্রকাশ করছি। তার বক্তব্য জাতি ঘৃণা করেছে। রাঙ্গা খারাপ বক্তব্য দিয়েছেন। এটা কুৎসিত বক্তৃতা। একজন সুস্থ মানুষ হলে, স্বাভাবিক থাকলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এমন সমালোচনা করতো না। আজ রাঙ্গার বক্তব্যে সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে। তার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, কোনো সুস্থ লোক এ ধরনের কথা বলতে পারে না। কোনো বিবেকবান লোক এটা বলতে পারে না। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও ব্যাখ্যা দাবি করেন তিনি।