দেশের খবর: শিশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি হওয়া চিপস প্যাকেটে খেলনা থাকার বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৪ দিনের মধ্যে এ নিয়ে তদন্ত করে বিএসটিআইকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে চিপসের প্যাকেটের ভেতরে শিশু খেলনা না ঢুকাতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রোববার (১৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. মনিরুজ্জামান।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এম এম ইস্পাহানী লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং, ইনগ্রিণ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিংকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিশুরা চিপস খাওয়ার সময় অবচেতন মনে খেলনাটাও খেয়ে ফেলার চেষ্টা করে। অনেক সময় তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে যায়। এটা খুবই অশনি সংকেত। এ কারণে রিট করেছিলাম।
এর আগে রিট করার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশে দুটি বাচ্চা মারা গেছে বলে আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি। আমরা আশঙ্কা করছি যে আমাদের দেশের কোনও শিশু চিপসের প্যাকেটে যে প্ল্যাস্টিকের খেলনা থাকে সেটা খাওয়ার পরে হয়তো এ রকম পরিস্থিতি হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর। এ কারণে রিট করেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এম এম ইস্পাহানির মাইটি চিপস ও ইনগ্রিনের ডরে ডরে চিপসের প্যাকেটে মূলত খেলনাগুলো পেয়েছি। হয়তো আরও আছে যেগুলো আমার অগোচরে। যেন কোনও কোম্পানি চিপসে খেলনা দিয়ে মার্কেটিং করতে না পারে। সে জন্য আবেদন করা হয়েছে।