নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারে একটি পিঁয়াজের মূল্য ১০০টাকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে মূহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, চীনা থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ আকারে বেশ বড়। যা ৩ থেকে ৪ টি কেজি ওজন হচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে এসব পিঁয়াজ ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে। এরকমই একটি পিঁয়াজের ওজন ৪৬০ গ্রাম হলে তার মূল্য দাঁড়ায় ১০০টাকা! চীন থেকে আমদানিকৃত এরকমই একটি পিঁয়াজ ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন সাতক্ষীরার ফজলুর রহমান।
বড়বাজারের আলুর আড়তদার ফজলুর রহমান বলেন, ৪৬০ গ্রাম ওজনের একটি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এসব চীনা পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা। জাহাঙ্গীর স্টোর থেকে ৪৬০ গ্রাম ওজনের পেঁয়াজটি কিনেছি আমি।
সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, বড় বাজারে কিছু পেঁয়াজ এসেছে সেগুলো সাইজ অনেক বড় ৩ থেকে ৪টি কেজি হচ্ছে। তবে একটি পেঁয়াজ ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে এমন কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তিনি দাবি করেন, অন্যদিনের তুলনায় আজ পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগেও এসব পেঁয়াজের কেজি ১৫-২০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। সেই পেঁয়াজ এখন ২২০ টাকায় কিনতে হয়। বলতে গেলে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে পেঁয়াজের দাম।
বড়বাজারের বাজারের ব্যবসায়ী জহরুল ইসলাম বলেন, কেনা দামের চেয়ে প্রত্যেক মালামালে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি বিক্রি করি। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কেনায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে।আমরাও চাই দ্রব্য মূল্যের দাম কম হোক।সব কিছু বেশি বেশি দামে কেনা লাগে আমাদের হাতে তো কিছু নেই। অনেক পরিচিয় ক্রেতা আসে তাদের কাছে অনেক সময় কেনা দামে বিক্রি করে দেয়।
সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ম্যাজেস্ট্রেট নিয়ে আমরা নিয়মিত বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো ব্যবসায়ী যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেটি মনিটরিং করা হয়। বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এরপরও যারা বেশি দামে জিনিসপত্র বিক্রি করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনব আমরা।
সাতক্ষীরা বড় বাজারে একটি পিঁয়াজের মূল্য ১০০টাকা ভাইরাল!
পূর্ববর্তী পোস্ট