নিজস্ব প্রতিনিধি : হঠাৎ সাতক্ষীরা পৌর ভূমি অফিস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল। তাকে দেখে অবাক হন অনেকেই। আর সুযোগ বুঝে পালানোর চেষ্টা করেন দালালরা। কিন্তু বিচক্ষণ জেলা প্রশাসকের চোখ এড়াতে পারেননি রুহুল কুদ্দুস নামে এক দালাল। এসময় তার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার কৈখালী গ্রামের ওমর আলী অভিযোগ করে জেলা প্রশাসককে জানান, দালাল রুহুল কুদ্দুস জমির মিউটেশন করে দেওয়ার নাম করে তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি দুই হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা মিউটেশনের কপি পাওয়ার দিন দেবেন মর্মে রুহুল কুদ্দুসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু ২০-২৫ দিন অতিবাহিত হলেও তাকে প্রত্যাশী সেবা না দিয়ে তালবাহানা করছিলেন রুহুল কুদ্দুস।
এ সময় তাৎক্ষণিক দালাল রুহুল কুদ্দুসকে আটক করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল।
নির্দেশনা পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আজাহার আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রুহুল কুদ্দুস শহরের পারকুখরালীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে, অফিসের সামনে দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে না পারায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় পৌর ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কান্তি লাল সরকারকে শ্যামনগরের গাবুরা, উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আজিজ হাসানকে কলারোয়ার জয়নগর ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে শ্যামনগর সদর ভূমি অফিসে তাৎক্ষণিক বদলী করা হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত কেউ যদি দুর্নীতিতে জড়ায়, দালাল-বাটপারদের প্রশ্রয় দেয় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার অফিসের সামনে দালাল পাওয়া যাবে, বুঝবো সেই অফিসের অফিসার তাদের পুষছে। সরকারি সেবা দালাল ছাড়াই হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্তভাবে সকলে পাবে, এটাই জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার প্রত্যাশা।
এ সময় পৌর ভূমি অফিস পরিদর্শনকালে তিনি ভূমি কর দিতে আসা এক নাগরিককে তাৎক্ষণিক সেবা দিয়ে কর স্লিপ প্রদান করেন।
হঠাৎ পৌর ভূমি অফিসে জেলা প্রশাসক: আটক দালালের কারাদণ্ড
পূর্ববর্তী পোস্ট