নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের বেতলা গ্রামের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও একাধিক মামলার আসামী আবুল কাশেম এবং বাহিনী কর্তৃক অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কাশেমপুর গ্রামের মৃত ইছহাক মোল্লার পুত্র আব্দুর রাজ্জাক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জনৈক আব্দুস সালামের কাছ থেকে মির্জাপুর বাঁশঘাটা মৌজায় প্রায় ৭/৮ বিঘা জমি ক্রয় করে স্ব-স্ব সম্পত্তি ভোগদখল শুরু করি। কিন্তু অত্র এলাকার মৃত. হামেজ উদ্দীন সরদারের পুত্র চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু খ্যাত,একাধিক মামলার আসামী অত্র এলাকার ত্রাস আবুল কাশেম চাঁদাদাবি করে বলেন, জমিতে যেতে হলে আমাকে এবং আমার বাহিনীকে চাঁদা দিতে হবে। আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ভূমিদস্যু আবুল কাশেম একজন ভাড়াটিয়া ব্যক্তিকে সাজিয়ে আদালতে একটি ভূয়া মামলা দায়ের করায়। আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ২বছর পূর্বে আমাদের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায় অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি। কিন্তু সম্প্রতি ওই আবুল কাশেম আবারো তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় জোরপূর্বক আমাদের সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সে আমাদের কাছে চাঁদাদাবি করে। একপর্যায়ে বিভিন্ন কৌশলে আমাদের কারো কারো কাছ থেকে অনেক টাকা চাঁদাও নিয়েছেন কাশেম বাহিনী। কিন্তু আবারো চাঁদা চাওয়ায় আমরা আর চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় আবুল কাশেম প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলছেন ‘চাঁদা না দিলে খুন জখম করবে, তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক আমাদের সম্পত্তি দখল করবে, প্রয়োজনে পাসপোর্টে ভারতে গিয়ে অবৈধপথে এসে খুন করে আবারো অবৈধপথে ভারতে চলে যাবো মর্মে হুমকি প্রদর্শন করছেন।
ওই ত্রাস আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে। তারপরও কাশেম এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে জমি দখল এবং মিথ্যা হামলা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। সে তার অপকর্ম অব্যাহত রাখার জন্য এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তার বাহিনীর সদস্যরা হলেন, মৃত. হাবিল সরদারের পুত্র আব্দুস সবুর, আনছারের পুত্র চিহ্নিত গাজা সেবনকারী ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও আবুল কাশেমের পুত্র নাজমুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে দুটি চাঁদাবাজি মামলাও চলমান রয়েছে। দুটির মধ্যে একটির বাদী হলেন কুচপুকুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন ও আরেকটি রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না। যার মামলা নং- ৪২৮/১৭।
কাশেমের নিদৃষ্ট কোন দল নেই। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সে দলের নেতা পরিচয় দেয় কাশেম। আর এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করে। সম্প্রতি তার পুত্র নাজমুল শহরের রাজ্জাক পার্কে ভূয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। যার মামলা নং- ৯৫/১৬। বর্তমানে ওই কাশেম বাহিনী আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। কাশেম তার ভাড়াটিয়া বাহিনীকে ব্যবহার করে আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে যে কোন সময় দখল করতে পারে বলে আমরা মনে করছি। আমরা ওই কাশেম বাহিনীর হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি রক্ষা এবং কাশেম ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আতাউল হক, ইয়াছমিন, আবুল বাসার, হাবিুবর রহমান ও আমের আলী।
সাতক্ষীরায় কাশেম বাহিনী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট