স্বাস্থ্য ও জীবন: এক সময় রান্নার অপরিহার্য উপাদান হিসেবে সরিষার তেলের যথেষ্ট কদর ছিল। আজকাল সরিষার তেল ছাড়াও অন্যান্য তেল সেই জায়গা দখল করেছে। তবে শুধু রান্নার কাজে ব্যবহার নয়, এ তেলের আরও অনেক ধরনের গুণ রয়েছে। যেমন-
১. সরিষার তেলে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পরিমাণ মতো ভিটামিন এ থাকায় এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক কিংবা ব্রণের হাত থেকে ত্বকের সুরক্ষা দেয় সরিষার তেল। এজন্য অল্প পরিমাণে তেল হাতে নিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ভালো করে ম্যাসজ করুন। তারপর তুলা পানিতে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মুছে নিন। এতে উপকার পাবেন।
যারা ব্রণের কারণে মুখের কালো দাগ নিয়ে চিন্তিত তারা দুই চামচ সরিষার তেল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল মেশান। এরপর এতে এক চামচ লেবুর রস আর দু চামচ টক দই মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে শুধু দাগ যাবে না, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
২. আর্থ্রাইটিসের ব্যথা নিরাময়ে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। অস্থিসন্ধির ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেলে পরিমাণ মতো কর্পূর মেশান। তেলটা গরম করে ঠাণ্ডা হতে দিন। এ তেলটি দিয়ে ম্যাসাজ করলে আরাম পাবেন।
৩. সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এটি কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্রও সুস্থ রাখে। এ কারণে রান্নায় এ তেলটি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
৫. সরিষার তেল ঠাণ্ডা-সর্দি সারাতে দারুণ কার্যকরী। ঠাণ্ডা লাগলে দুই হাতে তেল নিয়ে ভালো করে বুকে ম্যাসাজ করুন। এতে বুকে জমে থাকা কফ কমবে। বন্ধ নাক খোলার জন্যে এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিয়ে ভাপ নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে। এছাড়া ছোট শিশুদের ঠাণ্ডা লাগলে হাত-পায়ের তালু, বুকে তেল ঘষলে উপকার পাবেন। সূত্র : বোল্ড স্কাই