পরামর্শক ডা. তানজিয়া নাহার তিনা: পৌষের ঠাণ্ড আবহাওয়া জেঁকে বসেছে পুরো দেশে। আর্দ্রতা কমে হিমশীতল বাতাস বইছে সবখানে। শীতের এমন আবহাওয়ায় সর্দিকাশি, জ্বর ইত্যাদিতে আক্রান্ত হতে পারেন যেকোনো বয়সের মানুষ। তাই শীতের আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। এ সময় বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে। তাই সবসময় নিজের শরীর ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই গোসল এড়িয়ে চলেন যা একদম ঠিক নয়। গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জেনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া গৃহের ব্যবহূত আসবাবপত্র, বিছানা, জামাকাপড় ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ভালো। এতে বিভিন্ন ইনডোর অ্যালার্জেন থেকে সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। শীতে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ও সবুজ শাকসবজি-ফলমূল পাওয়া যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিদিন মৌসুমি শাকসবজি খেতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে প্রতিদিন।
ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে বেরুতে মাস্ক ব্যবহার করা উত্তম। শীতে সর্দিজ্বর কিংবা ঠান্ডা লাগার প্রধান কারণ ভাইরাস সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জেন। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায় এ সর্দিকাশি। তবে সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি সর্দিকাশি থাকলেই দ্রুত পরামর্শ গ্রহণ করতে বলেন চিকিত্সকগণ।
লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ