খেলার খবর: বঙ্গবন্ধু বিপিএলের মাঝ পথে এসে টানা চার হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় কুমিল্লার। সর্বশেষ দুই ম্যাচে কষ্টের জয়ে আবার ফিরেছে লড়াইয়ে। টিকে আছে তাদের শেষ চারের সম্ভাবনা। কিন্তু এখান থেকে পা হড়কালেই কুমিল্লার নিতে হতে পারে বিদায়।
এমন সমীকরণের সামনে থাকা কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে জেতালেন সৌম্য সরকার। দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে এনে দিলেন ৫ উইকেটের জয়। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরে এটি সৌম্যর দ্বিতীয় ফিফটি। আর বিপিএল ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটি পেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সিলেট ভালো শুরু করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলে থামে। দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার এবং আব্দুল মাজিদ ভালো করেন। কিন্তু তারা ধীরে শুরু করেন। ফ্লেচার ২৫ বলে ২২ করে আউট হন। আব্দুল মাজিদ খেলেন ৪০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।
তাদের গড়ে দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে জনসন চার্লস এবং মোহাম্মদ মিঠুনের ভালো ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল। চার্লস ১৫ বলে ২৪ রানের এক ইনিংস খেলে রান বাড়ানোর কাজ শুরু করেই ফিরে যান। মোহাম্মদ মিঠুন ছিলেন বেশ বিবর্ণ। তিনি ২৫ বলে ১৮ রান করে আউট হন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে তিন উইকেট হারায় কুমিল্লা। নাঈম হাসান দারুণ স্পিন ঘূর্ণি শুরু করেন। সঙ্গে আগুনে পেস বোলিং করেন এবাদত হোসেন। শুরুর দুই ওভারে এই পেসার দেন ৬ রান। তিন ওভারে খরচা করেন ১১ রান। শেষ ওভারে অবশ্য সৌম্যর কাছে চার-ছক্কা খান। স্পিনার সোহাগ গাজীও ভালো বল করেন।
কিন্তু সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে ডেভিড ম্যালান এগিয়ে নেন দলকে। তিনি ৫৮ রান করে আউট হন। পরে সৌম্য ৩০ বলে ৫৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। ছয়টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মারেন তিনি। এ জয়ে দশ ম্যাচে পাঁচ জয়ে খুলনার সঙ্গে শেষ চারে যাওয়ার লড়াই জমিয়ে তুলেছে কুমিল্লা। মুশফিকের খুলনা অবশ্য ম্যাচ কম খেলেছে একটি।