বিদেশের খবর: ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে মার্কিন সেনাদের উল্লেখ করা হয়েছে ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ হিসেবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খোমেনি বলেছেন, ‘মিসাইল হামলা ছিল আমেরিকার সৈন্যদের জন্য একটি চপেটাঘাত’। তিনি এ অঞ্চল (মধ্যপ্রাচ্য) থেকে মার্কিন সেনাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে হামলার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ১০০টি টার্গেট ঠিক করে রাখা আছে বলে জানিয়েছেন, রেভ্যুলশনারি গার্ডের এক সিনিয়র অফিসার।
এর আগে কাসেম সোলাইমানি হত্যার বদলা নিতে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে ইরবিল ও আইন আল আসাদে দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ডজনখানেক মিসাইল ছুঁড়ে তেহরান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন এ হামলার কথা স্বীকার করলেও কোনো প্রাণহানির কথা জানায়নি। এই প্রথম ইরানের পক্ষ থেকে হতাহতের ব্যাপারে কোনো তথ্য দেওয়া হল।
ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ডের এক সিনিয়র অফিসার জানান, ওই অঞ্চলে ১০০টির বেশি টার্গেট তাদের নজরদারিতে আছে। মার্কিনিরা আবারও হামলা চালালে ওসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হবে।
মিসাইল ছুড়ে মার্কিন হেলিকপ্টার ও সামরিকযানের মারাত্মক ক্ষতিরও দাবি করেছে ইরানের অভিজাত এই সামরিক বাহিনীটি।
সোলাইমানি হত্যার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে কড়া প্রতিশোধের মুখে পড়তে হবে।
এছাড়া গত ৭ জানুয়ারি ইরানের পার্লামেন্টে মার্কিন সেনাবাহিনী ও পেন্টাগনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরাকের আল-আসাদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার এক ঘণ্টা পর ইরবিল মার্কিন ঘাটিতেঁও আঘাত হানে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র। খবর ইরনা, আল-মায়াদিন টিভি ও বিবিসির।
পেন্টাগন বলেছে, তাদের ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিল শহরের মার্কিন ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশি সশস্ত্র শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর থেকেই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটল।