দেশের খবর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ধর্ষক মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। সে এর আগেও ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ বুধবার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মজনু ছিল মাদকাসক্ত। পেশায় সে নিজেকে দিনমজুর বলে দাবি করলেও ছিনতাই, চুরির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
ওই ছাত্রীর বর্ণনা অনুযায়ী ধর্ষকের সামনের দাঁত ভাঙা ছিল। সে খর্বকায় ও চুল কোকড়া ছিল। ধর্ষণের পর মজনু ওই ছাত্রীর মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে এয়ারপোর্ট চলে যায়। সেখান থেকে নরসিংদী যায়। পথে সে অরুণা নামের একজনের কাছে মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক বিক্রি করে। অরুণা খাইরুল নামের একজনের কাছে মোবাইল বিক্রি করে। আমরা প্রথমে খাইরুল ও পরে অরুণাকে গ্রেপ্তার করি। পরে অরুণার বর্ণনা অনুযায়ী মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ১২ বছর আগে এক ট্রেনযাত্রায় মজনু ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিল। ওই সময় তার একটি দাঁত ভেঙে যায়। এই তথ্যটি তাকে ধরতে সহায়তা করেছে।
তিনি আরো বলেন, মজনু ওই ছাত্রীকে তিন ঘণ্টা সেখানে রেখেছিল। এর মধ্যে মেয়েটি কয়েকবার অচেতন হয়ে পড়ে। সর্বশেষ মেয়েটির যখন জ্ঞান ফেরে তখন সে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে রাস্তার ওপারে চলে যায়।
তিনি বলেন, ধর্ষণের সময় মজনু একা ছিল আর কেউ ছিল না। সে একজন ছিনতাইকারী এবং সিরিয়াল রেপিস্ট। তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এর আগেও বেশ কয়েকজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীকে এই ঝোপঝাড়ে এনে ধর্ষণ করে মজনু।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে ধর্ষক মজনুকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু র্যাবকে জানায়, তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ার সন্দ্বীপে। তার বাবা মৃত মাহফুজুর রহমান। মা জীবিত থাকলেও বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। মজনু বিবাহিত, তার স্ত্রী মারা গেছেন। ১০ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসে সে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে যায় মজনু।