দেশের খবর: রানওয়েতে এসে দাঁড়ালো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০ জে মডেলের বিমান। খুললো বিমানটির দরজা। আর দরজায় আলোর অবয়বে যেন চিরচেনা হাসি নিয়ে হাত উঁচু করে দাঁড়ালেন বঙ্গবন্ধু। পরক্ষণেই সেই সবুজ আলোর অবয়বে লালগালিচা বেয়ে জনতার মুজিব নেমে এলেন স্বদেশের মাটিতে।
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই মুহূর্তের এমন প্রতীকী মঞ্চায়ন দেখে কেঁদে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তার বোন শেখ রেহানাও।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই মুহূর্তকে স্মরণ করে এমন আয়োজন এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
প্রতীকী আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর আলোকমূর্তি লালগালিচায় পা রাখতেই ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে জাতির পিতাকে বরণ করে নেয়া হয় স্বদেশের মাটিতে। এসময় চারদিকে ধ্বনিত হয় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান। বঙ্গবন্ধুকে বরণকারীদের হাতে তখন দেখা যায় স্বাধীন দেশের লাল-সবুজ পতাকা।
বরণ পর্বের পর সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস দলের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। এসময় বাজানো হয় জাতীয় সংগীতের সুর।
বঙ্গবন্ধুকে প্রতীকীভাবে বরণ ও সম্মাননা জানানোর সময় তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা দাঁড়িয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ক্ষণগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে সারাদেশে ক্ষণগণনা শুরু হলো।
এ অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক দলের নেতা, আমন্ত্রিত অতিথি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।