পলাশ দেবনাথ, নুরনগর: শ্যামনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের আন্তঃক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২০উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নকিপুর সরকারি এইচ সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের সকল বিষয়ের প্রথম স্থান অধিকারী ৪টি বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক নৈপূণ্য চলে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতার বিরামহীন ভাবে সবকয়টি ইভেন্ট শেষ করতে বিকাল ৪টা বেজে যায়। তিনজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে ইভেন্টগুলোর সমাপ্তি হলেও পুরস্কার বিতরণী হবে না জানতে পেরে হতাশার কালো চিত্র ফুটে ওঠে সকলের চোখে মুখে। প্রতিযোগী এবং শিক্ষকগণকে জানানো হয় সার্টিফিকেট পরে প্রদান করা হবে। আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা শ্যামনগর। কোন কোন শিশু প্রায় ৫০ কিলোমিটার দুরত্ব পেরিয়ে উপজেলার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসে। তারা প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেও মনক্ষুন্ন অবস্থায় বাড়ী ফিরে যাবে এমনটি কেউ আশা করেনি। কয়েকজন শিক্ষকদের কাছে শিশুদের পুরস্কার না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দিকে তীর ছুঁড়েছেন । জানা গেছে এই প্রতিযোগিতার জন্য সরকারি বরাদ্ধ রয়েছে ১৬,০০০ ( ষোল হাজার) টাকা। সরকারি বরাদ্ধ থাকা সত্বেও কেন এমনটি হল? কেন কোমলমতি শিশুদের মুখ মলিন হল এমন প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে পাওয়া যায়নি। অনেকেই জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাতীয় এই কাজটি দায়সারা গোছের করেছেন। এখানেও তিনি অর্থ বাণিজ্য করতে চেষ্ঠা করছেন বলে অভিমত অনেকের। উল্লেখ্য তিনি এই উপজেলায় আসার পর থেকে আর্থিক অনিয়মের কথা শোনা গেছে। কখনও কখনও তিনি শিক্ষকদের হয়রানি করেছেন এমন অভিযোগও আছে। দিনশেষে বিজয়ীরা পুরস্কার না পেয়ে এবার হয়রানি হল উপজেলার কোমলমতি শিশুরা। প্রশ্নবিদ্ধ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের টাকা কুড়ানোই কি একমাত্র উদ্দেশ্য? নাকি শিক্ষার মান উন্নয়নে তার কোন দায়িত্ব আছে? এমন প্রশ্ন করেছেন অনেক অভিভাবক। শিশুদের হাতে পুরস্কার না দেওয়ার পিছনে তার টাকা হাতানো নাকি কর্তব্যে অবহেলা সে প্রশ্ন কেউ কেউ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আক্তারুজ্জামান মিলনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান আন্তঃক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২০ এর বাবদ বরাদ্ধ টাকা পাই নাই, আমার সহকারী অফিসারগন খরচ বহন করেছেন। বরাদ্ধের টাকা পেলে শিশুদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট