শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাবাখালি এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গোলাম হোসেন (৬০) উপজেলার জাবাখালি গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন মোড়লের পুত্র ।
আর আটককৃতরা হলেন, জাবাখালি গ্রামের এমান আলী মোড়লের ছেলে , সেলিম মোড়ল (৫০), সাইফুল মোড়ল (৩৫), ফারুক মোড়ল (৩২), বদর উদ্দিন মোড়লের ছেলে রেজাউল মোড়ল (৪০), রেজাউলের স্ত্রী মাছুমা বেগম (৩৫), সেলিম মোড়লের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), সাইফুল মোড়লের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০), ফারুক মোড়লের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৩০) ও এমান আলীর স্ত্রী সফুরা বেগম (৬৫)। আটকের পর উত্তেজিত জনতা তাদের ঘরবাড়ি ও ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোলাম হোসেনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘‘ বাড়ীর সামনে চলাচলের পথের অনেকাংশ দখল করে রাখায় প্রতিবেশী রেজাউল মোড়ল,সাইফুল মোড়লসহ অন্যদের সাথে গোলাম হোসেনের বিরোধ চলছিল।এনিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পরে গোলাম হোসেন সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারী হওয়ায় প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন গোলাম হোসেন।
এসময় তার সাথে বাঁকবিতন্ডার এক পরযায়ে প্রতিপক্ষরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গোলাম হোসেনকে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ’’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান জানান, পথের জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এঘটনায় নয়জনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি।
শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

