দেবহাটা ব্যুরো : বহুল আলোচনার পাত্র সাপমারা খাল খনন হচ্ছে। আর খালের খনন করা মাটি এখন পারুলিয়ার সরদার ব্রিকস্ প্রধান পুজিঁ হয়েছে। সাধারণ মানুষের কল্যাণে খনন করা হচ্ছে এ খাল। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের পকেট ভরাতে ব্যাস্থ সময় পার করছেন কিছু অস্বাধু ব্যক্তি। খাল থেকে তুলে রাখা মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট ভাটায় কাঁচামাল হিসাবে। আর তাই ভোর থেকে চলে এই কারবার। জানাগেছে, দেশের প্রতিটি জেলায় ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তারই অংশ হিসাবে সাতক্ষীরার আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার সংযোগ সাঁপমারা খাল পুনঃখনন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-১ এর অধিনে দুইটি প্যাকেজে মোট ১৯ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজ চলমান। যা ৯০ ফুট লম্বা এবং গভীরতা ৩০ফুট হবে। পটুয়াখালির মেসার্স এম কে কে-এম বি ইউ(জেভি) এবং মেসার্স আবুল কালাম আজাদ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন সহযোগী হিসাবে কাজ করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পারুলিয়া জেলিয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত সরদার ব্রিকস্ নামের একটি ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খালের পাড়ের মাটি। এ মাটির দালাল হিসাবে কাজ করেন স্থানীয় মহিদ নামের একব্যক্তি। তার নির্দেশে কয়েকশত শ্রমিক লাগিয়ে ঠিকাদারের যোগসাজসে খালের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রলি ভর্তি করে। এখানের শ্রমিকরা ট্রলি ভর্তি করে দিলে তারা পায় ৬০টাকা, ট্রলি চালক পায় ৫০টাকা। সব মিলে ১০৫টাকার খরচ করে ঐ মাটি ভাটায় বিক্রয় হয় কয়েক শত টাকা। এভাবে দিন প্রায় ২শত থেকে আড়াইশত ট্রলি মাটি নিয়ে যায় ইট ভাটায়। এতে রোজ মহিদের পকেটে হাজার হাজার টাকা। অন্যদিকে, সরকার প্রকল্প দিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে খাল খনন করে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি এবং পাড় নির্মানে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই মাটি ঠিকাদারের যোগসাজসে নিয়ে যাওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আরো দেখা গেছে খালের লোনা মাটি দিয়ে তৈরী করা হবে ইট। যা নির্মানে কাজের জন্য অনুপযোগী। লোনা মাটির ইট ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ক্রেতারা।
এবিষয়ে মাটির দালাল মহিদ জানান, আমাদের মাটি নেওয়ার অনুমতি আছে। তাই নিয়ে যাচ্ছি। তবে তিনি নিউজ প্রকাশ না করার ব্যাপারে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে ঠিকাদারের সুপারভাইজার কর্মী ইয়াসিন আলাফাত জানান, খালের মাটি এভাবে নিয়ে যাওয়ার কোন অনুমতি নেই। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ।