খুলনা ডেস্ক: খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ বিষপানের পর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ছোট ছেলে। এর আগে ২০১৭ সালে তার বড় মেয়েও এমন ঘটনা ঘটান।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে তিনি খুলনার ডুমুরিয়ার নিজ বাড়িতে বিষপান করে অসুস্থ হন। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাতে তার মৃত্যু হয়।
অভিজিতের বড় ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার ভাই বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তার মরদেহ খুলনায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
স্কয়ার হাসপাতালের গণসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখান থেকে বলা হয়, বিকাল সাড়ে চারটায় অভিজিৎকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সাতটার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিজিতের মেজো ভাবি সুলগ্না বসু জানান, পয়জন খেয়ে (বিষপানে) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রথমে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়।
কী ধরনের বিষ খেয়েছেন জানতে চাইলে পরিবারের একটি সূত্র জানান, হারপিক পান করেন তিনি। তবে কেন এমন করেছেন তা বলতে পারেনি সূত্রটি।
উল্লেখ্য, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মেয়ে জয়ন্তী রানী চন্দ ওরফে বেবিও ২০১৭ সালে এভাবে মারা যান।