দেশের খবর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে বিভিন্ন আলামত থেকে সংগৃহীত নমুনার মিল পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শনিবার সিআইডির উপমহাপরিদর্শক শেখ নাজমুল আলম এ কথা জানান। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সিআইডির উপমহাপরিদর্শক শেখ নাজমুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই নমুনার সঙ্গে গ্রেপ্তার মজনুর ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়। সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মজনুর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
ইতোমধ্যে সিআইডি তাদের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এদিকে ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, তাদের অভিযোগপত্র প্রায় চূড়ান্ত। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) একটি মেডিকেল প্রতিবেদন তাঁরা এখনো হাতে পাননি। ওই প্রতিবেদন হাতে পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পরদিন ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিনের মাথায় এ ঘটনায় মজনু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর মজনু ডিবি হেফাজতে সাত দিনের রিমান্ডে ছিলেন। আদালতে উপস্থাপনের পর ধর্ষণে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীও ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। এই মামলায় শিক্ষার্থীকে আইনগত সহযোগিতা দিচ্ছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র।