ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ ও পাচারের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ বাগানপাড়া গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোঃ আযম (২২) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আরার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলামের ছেলে। আশাশুনি থানা পুলিশ জানায়, কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উক্ত মেয়ে সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গত পহেলা ফেব্র“য়ারি প্রেমের টানে সে একই গ্রামের সহপাঠী আযমের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আযমসহ তিনজনের নামে থানায় একটি মামলা করেন। এদিকে ওই কলেজ ছাত্রী গত ২ ফেব্র“য়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারী পাবলিকের এফিডেভিটের মাধ্যমে আঁখি আক্তার নাম দিয়ে পরদিন তারা বিয়ে করে। মেয়েটির বাবার মামলার খবর পেয়ে তারা দু’জন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ বাগানপাড়া গ্রামে এক বাড়িতে অবস্থান করছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তাদেরকে আটক করে আশাশুনি থানায় খবর দেয়। গত বুধবার রাতেই তাদেরকে আশাশুনি থানায় নিয়ে আসা হয়। গত বৃহস্পতিবার ওই মেয়েকে আদালতে নিয়ে বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের খাস কামরায় ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এ সময় মেয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে নিজ জিম্মায় দিয়ে দেন বিচারক আর জেলে পাঠানো হয় আযমকে। পরে ওই মেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় জানায়, সে স্বামীর ঘরেই ফিরে গেছে। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রী কুষ্টিয়ায় উদ্ধার
পূর্ববর্তী পোস্ট