ন্যাশনাল ডেস্ক: সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, যাচ্ছে প্রাণ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবেও বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি। এই দুর্ঘটনার জন্য যেক’টি কারণ দায়ী তার অন্যতমই লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক।
এই ঘাটতি দূর করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৪০ হাজার দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করতে চায়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ‘যানবাহন চালনা প্রশিক্ষণ’ নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১ কোটি ১০ লাখ টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের মধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের টার্গেট ঠিক করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তাজুল ইসলাম চৌধুরীর জানান, বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা প্রকল্প প্রস্তাব করেছি। এর মাধ্যমে দক্ষ চালক তৈরি করলে একদিকে যেমন সড়ক নিরাপদ হবে, অন্যদিকে তেমনি তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার পর কারিকুলাম তৈরি করা হবে। তখন বলা যাবে কোন যানবাহনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞানের অভাব ও সড়ক ব্যবহার বিধি ও ট্রাফিক আইন না জানার কারণেই অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় দক্ষ চালক তৈরির জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্র্যাক পরিচালিত জরিপের প্রসঙ্গ টেনে এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩৮০টি ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল বর্তমানে গাড়ির চালক তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এসব স্কুলের অধিকাংশই সঠিক ও আদর্শ কারিকুলাম অনুসরণ করে প্রশিক্ষণ দেয় না। তাদের পর্যাপ্ত সুবিধাদি যেমন- ড্রাইভিং সিমুলেটর, প্রয়োজনীয় গাড়ি, যন্ত্রপাতি, ভৌত অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও লাইসেন্সধারী শিক্ষক নেই। ফলে যোগ্যতার বিচারে এসব স্কুলের মধ্যে মাত্র ৬৯টিকে বিআরটিএ অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া ইউনাইটেড ন্যাশনস ডিকেট অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০১১-২০২০ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। লক্ষ্য পূরণে বিআরটিএ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ প্রেক্ষাপটে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে ড্রাইভিং ট্রেডকোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, দেশের ৪০টি জেলায় বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ নয়। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় যুব উন্নয়ন অধিদফতর ৮০টি অনাবাসিক ভবন ও ট্র্যাক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে। এ জন্য ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ভিত্তি জানা প্রয়োজন।
এছাড়া ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো এক লাখ ড্রাইভার তৈরির প্রকল্প নিয়েছে। অর্থ বিভাগের এসইআইপি এবং বিআরটিসি এক লাখ ড্রাইভার তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিআরটিসি তিন লাখ ড্রাইভার প্রশিক্ষণের জন্য একটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিচ্ছে। তাছাড়া বেশ কিছু এনজিও এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় যুব উন্নয়ন অধিদফতরের এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আবশ্যকতা নিয়ে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
ন্যাশনাল ডেস্ক: সড়কে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, যাচ্ছে প্রাণ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবেও বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি। এই দুর্ঘটনার জন্য যেক’টি কারণ দায়ী তার অন্যতমই লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক।
এই ঘাটতি দূর করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৪০ হাজার দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করতে চায়। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ‘যানবাহন চালনা প্রশিক্ষণ’ নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১ কোটি ১০ লাখ টাকা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের মধ্যে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের টার্গেট ঠিক করা হয়েছে।
এ নিয়ে কথা হয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে জানান, বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা প্রকল্প প্রস্তাব করেছি। এর মাধ্যমে দক্ষ চালক তৈরি করলে একদিকে যেমন সড়ক নিরাপদ হবে, অন্যদিকে তেমনি তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার পর কারিকুলাম তৈরি করা হবে। তখন বলা যাবে কোন যানবাহনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞানের অভাব ও সড়ক ব্যবহার বিধি ও ট্রাফিক আইন না জানার কারণেই অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় দক্ষ চালক তৈরির জন্য প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্র্যাক পরিচালিত জরিপের প্রসঙ্গ টেনে এতে বলা হয়েছে, প্রায় ৩৮০টি ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল বর্তমানে গাড়ির চালক তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এসব স্কুলের অধিকাংশই সঠিক ও আদর্শ কারিকুলাম অনুসরণ করে প্রশিক্ষণ দেয় না। তাদের পর্যাপ্ত সুবিধাদি যেমন- ড্রাইভিং সিমুলেটর, প্রয়োজনীয় গাড়ি, যন্ত্রপাতি, ভৌত অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও লাইসেন্সধারী শিক্ষক নেই। ফলে যোগ্যতার বিচারে এসব স্কুলের মধ্যে মাত্র ৬৯টিকে বিআরটিএ অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া ইউনাইটেড ন্যাশনস ডিকেট অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০১১-২০২০ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। লক্ষ্য পূরণে বিআরটিএ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ প্রেক্ষাপটে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে ড্রাইভিং ট্রেডকোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, দেশের ৪০টি জেলায় বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ নয়। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় যুব উন্নয়ন অধিদফতর ৮০টি অনাবাসিক ভবন ও ট্র্যাক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে। এ জন্য ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সংস্থান রয়েছে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ভিত্তি জানা প্রয়োজন।
এছাড়া ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো এক লাখ ড্রাইভার তৈরির প্রকল্প নিয়েছে। অর্থ বিভাগের এসইআইপি এবং বিআরটিসি এক লাখ ড্রাইভার তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বিআরটিসি তিন লাখ ড্রাইভার প্রশিক্ষণের জন্য একটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিচ্ছে। তাছাড়া বেশ কিছু এনজিও এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় যুব উন্নয়ন অধিদফতরের এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আবশ্যকতা নিয়ে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।