নিজস্ব প্রতিনিধি : নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কের মধ্যে নিত্যপণ্য কেনার হিড়িকে মওকা হিসেবে পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। করোনা আতঙ্কে বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন সাতক্ষীরা বড় বাজারসহ জেলার ছোট বড় বাজারগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এমনকি সাতক্ষীরা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান স্বয়ং বড় বাজারে অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি রাখায় জরিমানা আদায়ের অর্থের পরিমাণও কম নই।
২১ মার্চ ২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ফেসবুক পেজে ২১ মার্চ পর্যন্ত ৪লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং ২২ মার্চ ১লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু তারপরও কিছু অতি লোভী ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে উচ্চ মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত কয়েকদিন পূর্বে আলুর কেজি ছিলো ১০ থেকে ১২টাকা, পেঁয়াজ ছিলো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
অথচ করোনার কথা প্রচারের সাথে সাথেই ১২ টাকা কেজি দরের আলু ২০ টাকা, ৪০ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ৬০টাকা, চাল ভেদে বস্তা প্রতি তিন থেকে পাঁচশত টাকা বিক্রয় শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যদিও প্রায় প্রতিদিনই চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ভ্রাম্যমান আদালতের বাজার থেকে চলে আসার পর পরই আবারো উচ্চ মূল্যে পন্য বিক্রয় শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার বড় বাজারে আসা জানান খাতুন জানান, অভিযান চালিয়ে খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। কারণ বাজারের এক মাথায় যখন অভিযান শুরু হয়, খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে চলে যান। অনেকে কম্পিউটার থেকে ভূয়া চালান ও মেমো তৈরি রেখেছেন। সেখানে উচ্চ মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে আদালতের চোখ ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে শনিবারের তুলনায় রবিবার এসব মালামালের দাম কিছুটা রয়েছে।
যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে ক্রয় করার কারণে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে। এছাড়াও ভাইরাসে কারণে সাতক্ষীরা লকডাউন হতে পারে এমন খবরে অনেক ক্রেতারা বেশি বেশি পণ্য ক্রয়ের কারণে বাজারে মালামাল পর্যাপ্ত না থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, যে সব ব্যবসায়ীরা এধরনের কাজ করছে আপনারা তাদের তালিকা করে আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবো।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা বড় বাজার মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকুল বলেন, দাম বাড়ান কোন সুযোগ নেই। শনিবার একটু বেশি ছিলো। সাধারণ ক্রেতাদের কারণে বাজারে পণ্য কম থাকায় বেড়েছিল। রবিবার পন্যের দাম অনেক কমেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট