কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) সুপার ও ইউনিয়ন বিবাহ রেজিস্ট্রার মাও: আজিজুল হকের পরকীয়ার অভিযোগে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তিনি দুই স্ত্রী নিয়ে সংসার করলেও প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিছেন। উপজেলার মনোহারপুর গ্রামের মৃত ছফেদ আলীর ছেলে মাও: আজিজুল হক কুশুলিয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রায়ায় সহকারী শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি (ভারপ্রাপ্ত) সুপারের দায়িত্ব পালনের পাশপাশি ইউনিয়ন বিবাহ রেজিষ্টার হিসাবে এলাকায় বিয়ে পড়িয়ে থাকেন। ঐ মাদ্রাসার অধ্যায়নরত ৭ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর পিতা শাহাজান মোড়ল বিদেশ (বাহারাইনে) থাকার সুবাদে তাদের মায়ের সাথে অবৈধ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মাদ্রাসা সুপার। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামবাসী ও অভিভাবক মহলের মাঝে মাদ্রাসা সুপারের অনৈতিক কর্মকা-ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মাদ্রাসা সুপার ও প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইলে পরকীয়ার কথপোকথন সকলের মোবাইলে শোনা যাচ্ছে। এলাকার শিক্ষানুরাগী ও সচেতন মহল হীন কর্মকা-ের প্রতিবাদ ও মাদ্রাসা শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার নিজের কর্মস্থল মাদ্রাসায় আসাও বন্ধ করে দিয়েছেন। পরকীয়ার বিষয়ে সম্পর্কে মাদ্রাসা সুপার মাও: আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। তবে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক ভাবে জানাজানি হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে শোকজ করেছে। যার জবাব আমি সঠিক সময়ের মধ্যেই দিয়ে দেব। পত্রিকায় নিউজ করে আমার আর কিইবা ক্ষতি করবেন। পারলে আমার ছবি দিয়ে পোস্টার তৈরি করে দেয়ালে দেয়ালে মেরে দিন। কুশুলিয়া দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী মোফ্ফাখারুল ইসলাম নিলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে তাকে শোকজ করা হয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট