অপ্রতিম : তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে আজ রবিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে জেলা ও থানায় বিরাজমান কোন্দল নিরসনে মিশন শুরু হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের। আগামী ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ডাক পড়েছে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের।
এর অংশ হিসেবে বৈঠক করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কোন্দলের কারণ কি তা চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেবেন তিনি। বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কোন্দলপূর্ণ সব জেলার সঙ্গে আলোচনায় বসবে দলটি।
সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এবং কেন্দ্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদক ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সভাপতি মুনসুর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ছাড়াও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি ও এস এম জগলুল হায়দার এমপি উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সাথে বৈঠকে।
গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কোন্দল নিরসনের এই মিশন কতটা সুফল বয়ে নিয়ে আসবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতারা সন্দিহান।আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুফল নিয়ে সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর অন্তত ছয় জন নেতা বলেন, ‘কোন্দল নিরসনে জেলার নেতাদের সঙ্গে বসে আমরা আলোচনা করবো। বিদ্যমান সমস্যা কি তা চিহ্নিত করার চেষ্টা থাকবে। তবে সুফল আসবে কিনা তা এখনই বলা যাবে না।’
এরই অংশ হিসেবে রবিবার চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার নেতাদের ঢাকায় তলব করা হয়েছে। এদিন বিকাল ৫টায় সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আরও তিনটি জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ এপ্রিল যশোর, ২৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা ও ২৭ এপ্রিল নীলফামারী জেলার নেতাদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিরোধ মীমাংসা করতে কোন্দলপূর্ণ জেলার দায়িত্বশীল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট থানার নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
তবে বিরোধ মীমাংসায় সাধারণ সম্পাদক নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে চান তৃণমূলের নেতারা। তাহলেই সত্যিকার অর্থে বিরোধ মীমাংসা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও সাতক্ষীরার দায়িত্বশীল তিন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা নিজেদের জেলার বিরোধের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘মীমাংসার জন্য সভাপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।’
এ আলোচনার মাধ্যমে কোন্দল নিরসন কতখানি সম্ভব হবে তা নিশ্চিত নন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মনসুর আহমেদ। তিনি বলেন,‘কোন্দল মীমাংসায় সবাইকে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একমত হতে হবে। তাহলেই সুফল আসতে পারে।’
অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলছেন, ”দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে করে দলে এখন কোন্দলের কোন সুযোগ নেই। বরং সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকতে হবে নেতৃত্বের মধ্যে। যাতে করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সকলেই ভূমিকা রাখতে পারে।