কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ও তারালী ইউনিয়নের বেশীর ভাগ মানুষ গৃহে অবস্থান ও কর্মহীন হয়ে ত্রান সহায়তা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইচ্ছা না থাকার পরও অনেককে কাজের আশায় বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রেন্টাইনে থাকা মানুষ গুলোও পাচ্ছে না সরকারি সহায়তা। একদিকে অভাবের সংসার অপরদিকে বাড়ি দূরে হওয়ায় প্রশাসনের ভয়ে সংশি¬ষ্ঠ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাবার পৌঁছে দেওয়াটা অনেক দুষ্কর হয়ে উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি ভাবে উপজেলায় ৭৪ হাজার ০. ১২টি পরিবারের জন্য ৭১ মেট্রিক টণ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হয়েছে তিন লাখ ৫৪ হাজার। উপজেলার ৭১‘শ পরিবারকে এ পর্যন্ত এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গেলে জানাযায়, তারালী ইউনিয়নে ৬ হাজার ২৫৮টি পরিবার বসবাস করেন। এখানে ভোটার সংখ্যার পরিমান ২৮ হাজারের উপরে। ইউনিয়নের ৩৩০টি পরিবারকে এপ্রিলের দুই তারিখ থেকে ৯টি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে অসহায় পরিবারকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে ও ৩৯জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বরাব্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন, ভাড়াশিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০জন, দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩জন, খারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯জন, বাগবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২জন ও সোনাটিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩জন অবস্থান করছেন। এছাড়া পাশর্^বর্তী তারালী ইউনিয়নে পরিবারের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। জনসংখ্যা ২৭ হাজারের উপরে। এ পর্যন্ত ৪৪৯টি পরিবার সরকারি সহায়তা পেয়েছে। হোম কায়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ১২৮ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৬৬জন। এদের মধ্যে তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২০জন, তারালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রয়েছে ৫জন, গোলাখালি সাইক্লোন শেল্টারকাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ৬জন, কাজী আলাউদ্দিন কলেজে রয়েছে ১১জন ও বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৪ জন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকেই অভিযোগ করেন, তাদের খাওয়ার কষ্ট, সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না। রয়েছে শৌচাগারের সমস্যা। অভাব ও পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে না পারায় বাড়ি থেকেও খাবার পাচ্ছেন না ঠিকমত। ভাড়াশিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ বিশ্বাস ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট বলেন, বর্তমান পরিস্থিতে গৃহবন্দি ৭৫ শতাংশ মানুষ খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে। অনেকেই অভাবের কারণে বাড়ি থেকে বাইরে যাচ্ছেন। এতো কড়াকাড়ির পরও কোন ভাবেই তাদেকে আটকানো যাচ্ছেনা।
পূর্ববর্তী পোস্ট