নিজস্ব প্রতিনিধি : শহরে জালিয়াত চক্রের ফাঁদে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী তমেজউদ্দিন সরদার। তিনি জানান, তার নিজ নামে ১৯৭৭ সাল থেকে ৭৮ শতক রেকর্ডীয় ভূমি রয়েছে। তিনি এই জমির বর্তমান সময় পর্যন্ত খাজনা দিয়ে দখলে আছেন। ডিপি ৩৬৩৫ খতিয়ানে সাবেক ১১১৮৫ দাগে হাল ১৫৬৭৪ দাগের ওই জমি নিয়ে কারও সাথে বিরোধ না থাকায় এতদিনে কোন দ্বন্দ্ব হয়নি। কিন্তু কাশেম বাহিনী হিসেবে পরিচিত শহরের একটি জালিয়াতি চক্র ওই জমি দখলের চেষ্টা করে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তির স্বার্থে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালত গত ৫ মে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরে আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এমনকি যতদিন পর্যন্ত ওই মামলা নিষ্পত্তি না হবে ততদিন এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে আদতালত ইনজেনশন জারি করেছেন। এরফলে জালিয়াতি চক্রটি পিছু হটে যায়। তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে ৭ শতক জমিতে গত ১৪ মে সুযোগ বুঝে চক্রটি রিং স্লাব ইট, বালু, খোয়া ও বাঁশ ফেলে রাখে। তিনি জানান, কাশেম বাহিনী প্রধান কাশেম শাহজি ও তার সহযোগী আব্দুর রহমান বাবু, তমেজউদ্দিন সরদারের ঘরবাড়ি ভাংচুর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলাও আছে। ভূমি জালিয়াত চক্রের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২০/২৫ জন। অভিযোগ আছে চক্রটি জাল কাগজপত্র তৈরী করে। এমনকি ভূয়া রেকর্ড সৃষ্টি করে ভুমি মালিকদের জমি দখল করে। এদিকে জালিয়াত চক্রটি শহরের রসুলপুরের উলফাতুন আরা খানমের ৮৩ শতক জমি ভূয়া কাগজ দেখিয়ে দখল করতে যায়। আদালত তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পলাশপোলের জাহানারা জাহিদের ৫ কাঠা জমি একইভাবে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে জোর করে দখল করে ওই চক্র। সেখানেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অন্যদিকে, মঈদুল ইসলামের ৩৩ শতক জমি দখল চেষ্টা করে তারা। আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে এখন ১৪৫ ধারা জারি আছে। তা সত্ত্বেও তারা আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সেখানে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখেছে। এমন কয়েকটি দখলবাজির আরও কয়েকটি অভিযোগ আছে ওই চক্রটির বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বলেন, ওই ভূমি চক্রের দাপটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারন জমি মালিকরা। ভূমি জালিয়াতি চক্রটিকে প্রতিহত করা জরুরী। তাদের হঠাতে না পারলে শান্তি প্রিয় ভূমি মালিকরা বারবার হয়রানির শিকার হতে হবে। এব্যাপারে ভূক্তভোগীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট