দেশের খবর: মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২১৪ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৬৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৭৭০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (৯ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের নমুনাসহ মোট পাঁচ হাজার ৪৬৫ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ২৪৭ জনের। এর মধ্য থেকে ৬৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পরে গত ১৪ এপ্রিল ৩৮ তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে ১৩ হাজার ৭৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে মোট এক লাখ ছয় হাজার ৮৬৬ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ শনিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজারের বেশি। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৪০ লাখ ২৬ হাজার ৮৪৬ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৮ হাজার ৫০১ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৬০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৭ জন রোগী মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।