নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেখা দিয়েছে ফাঁটল। ব্রিজটি ভেঙে পড়ছে। ফেটে যাওয়া অংশ পুডিং করা হচ্ছে। ব্রিজটি নির্মাণে সরকারি টাকা হরিলুট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। নিম্নমানের রড, সিমেন্ট আর বালু দিয়ে ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামত ব্রিজটি নির্মাণ করছেন। যদিও ঠিকাদারের নাম পরিচয় বলতে পারেনি এলাকাবাসি। তবে তারা জানান, ১৪ বস্তা বালুর সাথে নাকি এক বস্তা সিমেন্ট মিশিয়ে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রামের অজপাড়ায় ব্রিজটি নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। কাজের ধরণ ও মান দেখলেই তা স্পস্ট বোঝা যায়। কে এই ঠিকাদার? ব্রিজটি নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ? বাস্তবায়নকারী সংস্থার নাম কী? ব্রিজটি নির্মাণে কার্যকাল কী? তার কোন সাইন বোর্ড এখানে স্থাপন করা হয়নি। চরম দুর্নীতি আর অনিয়মের মাধ্যমে যেনতেনভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষ লুটপাট করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের বেনিয়াখালি (সুলতানপুর) অনীল কুমার দত্ত’র বাড়ির পাশে খালের উপর এভাবে সিডিউল ও সরকারি কার্যাদেশের কোন নিয়ম কানুন না মেনেই চলছে ব্রিজ নির্মাণের কাজ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান জানান, ঠিকাদারের বাড়ি লাবসায়। কত টাকা বরাদ্দ তা তিনি পথে মোটরবাইকে থাকার কারণে তাৎক্ষণিক বলতে পারেননি। চেয়ারম্যান জানান, ব্রিজটি নির্মাণে দুর্নীতি হচ্ছে এমন খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ব্রিজটির অংশ বিশেষ ভেঙে পড়ছে। ফাঁটল ধরেছে অনেক জায়গায়। অথচ ব্রিজটির নির্মাণ কাজই শেষ হয়নি। আড়াই শ’ টাকার স্ট্যাম্পে ঠিকাদার নিশ্চয়তাপত্র দিলে নাকি বিল তুলতে পারবেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
এলাকাবাসি জরুরী ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।