দেশের খবর : ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অপবাদ নিয়ে দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নির্যাতনের শিকার সরিফা খাতুন।
মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী তারই প্রতিবেশি গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে গত ২২ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আর ৭ জন মিলে গৃহবধূর ছেলে শিশু সুমন ও তার ভাতিজা কমিরুল ইসলাম আটক করে। এরপর তারা একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করে। শালিস বৈঠকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়গায় ওই দুই শিশুকে মারপিট করে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগিরা এবং মারপিটের সেই চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে। পরে ভিডিও চিত্র গৃহবধূ সরিফা খাতুনকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিরা মিলে গৃহবধূকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূর বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা।
মামলা দায়েরে ৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, মামলাটি আমরা তদন্ত করছি এবং মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।