প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগে বৈশম্য, অনিয়ম-দুর্নীতি ও জেলা কোটা অনুসরণ না করার প্রতিবাদে নিয়োগ বঞ্চিত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
আজ ২৪ জুন’২০২০ বুধবার একযোগে সারাবাংলাদেশের ৩০টি জেলার সাথে তালমিলিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টায় এই কর্মসূচি পালন করে পদবঞ্চিত মেধাবী প্রার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে ১ হাজার ৬৫০ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এতে ৫১টি জেলার ২৮ হাজারের অধিক প্রার্থী আবেদন করার সুযোগ পান। গত বছরের ২ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৩৯ জন। পরের মাসে ১৩ তারিখে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৫ হাজার ১১৪ জন মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ পান। মাসব্যাপি চলেছে মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১ হাজার ৬৫০ জনের তালিকা প্রকাশ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তালিকা প্রকাশের পর থেকে মেধাবী পদবঞ্চিতরা বৈশম্য, অনিয়ম-দুর্নীতি ও জেলা কোটা অনুসরণ না করার অভিযোগ তুলে এই নিয়োগের উপর হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বেশ কিছু রুল জারি করেন এবং নিয়োগ কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হাইকোর্টের রুল সমূহের জবাব না দিয়ে সুপ্রিমকোর্টে এ্যাপিলেট ডিভিশনে আপিল করেন। চলতি বছরের মার্চে মহামান্য প্রধান বিচারপতিসহ মোট ৭ বিচারপতির বেঞ্চ আপিল খারিজ করে রুলের দ্রুত জবাব দিতে ও মামলার দ্রুত নিস্পত্তির নির্দেশ দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশ্বরূপ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মৃনাল সরকার, আমিনুর রহমান, অতিশ দীপঙ্কর বসু, মেহেদি হাসান, আব্দুল হাদি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে এই নিয়োগে বিধি মোতাবেক জেলা কোটা অনুসরণ করা হয়নি। কোন কোন জেলায় কোটার বিপরীতে দ্বিগুণ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, প্যানেলের মাধ্যমে ৩৪৬৪ জন মেধাবী পদবঞ্চিতদের নিয়োগ দিয়ে দেশের সেবায় কাজ করার সুযোগ দানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট