বিদেশের খবর : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সুইডেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন সতর্কতার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন সুইডিশ মহামারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রাস টগনেল।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছিল বেশ কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এর মধ্যে জাতিসংঘভুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১ টি দেশ রয়েছে।
এদিকে ড. টেগনল সুইডিশ টিভিকে বলেন, এটি ছিল সম্পূর্ণ ভূল তথ্য। সুইডেনে করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, এর কারণ টেস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, ইইউ সদস্যভুক্ত দেশ সুইডেনে গত ১৪ দিনে লাখে ১৫৫ জন শনাক্ত দেখা যাচ্ছে। যা আমেরিকা ছাড়া ইউরোপ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক পরিচালক হ্যানস হ্যারি ক্লুজ বলেন, সুইডেনসহ ১১টি দেশে পুনরায় সংক্রমণ বাড়ছে।
সুইডেন ছাড়া এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলো হল- মলদোভা, উত্তর ম্যাকডোনিয়া, আলবেনিয়া, বসনিয়া-হারজেগোভিনা, ইউক্রেন, কসভো, আর্মেনিয়া, আজারভাইজান এবং মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্র কাজাখাস্তান ও কিজগিস্তান।
করোনা মহামারীতে সুইডেন ইউরোপীয় অন্যদেশগুলোর চেয়ে ভিন্নভাবে নিজেদের উপস্থাপন করেছে। দেশটিতে কোনো লকডাউন দেয়া হয়নি। সেখানে স্কুল এবং ক্যাফেগুলো খোলা রয়েছে, তবে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ সুইডেন নাগরিক সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন।
১ কোটি জনসংখ্যার দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার ২৩০ জন মারা গেছেন। চলতি সপ্তাহে সুইডেনে প্রতিদিন গড় আক্রান্তের হার বেশি। বুধবার দেশটিতে ১ হাজার ৬১০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি