বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তারা ভোট পেয়েছেন যথাক্রমে ২৫৯ ও ২৭৯। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সভাপতি পদে ওমর সানি ১৫৩ ভোট পেয়েছেন আর অমিত হাসান পেয়েছেন ১৪৫।
নির্বাচিত হওয়ার পর আজ শনিবার সকালে এফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের বাইরে অনুভূতি ব্যক্ত করেন নতুন সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘আগের কমিটি কোনো কাজ করেনি। প্রচুর জঞ্জাল জমা হয়েছে। আমরা তা পরিষ্কার করব। চলচ্চিত্র শিল্পীরা বারবার অবহেলার শিকার হয়েছেন। আমরা এই অবহেলা থেকে তাদের মুক্ত করব। দুঃস্থ শিল্পীদের সহযোগিতার জন্য ফান্ড গঠন করব। বিদেশি চলচ্চিত্র আমাদের চলচ্চিত্রকে ক্রমেই গ্রাস করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব। দেশিয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে যা যা প্রয়োজন, আমরা তার সবই করব।’
আর সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নেতৃত্ব
এবার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াজ (৩২৮) ও নাদের খান (২৬৫), সহসাধারণ সম্পাদক আরমান (২৬৫), সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত (৩১০), আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ইমন (২৬২), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৯৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন (১৯০) এবং কোষাধ্যক্ষ কমল (২৪২)।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা হলেন অঞ্জনা (৩২২), আলরাজ (৩০৩), জেসমিন (৩২৩), নাসরিন (২৬৮), পপি (৩০২), পূর্ণিমা (২৮২), ফেরদৌস (২৬১), মৌসুমী (৩৪৯), রোজিনা (৩৪৪), সুশান্ত (৩৪২) ও সাইমন সাদিক (৩৬১)।
আজ শনিবার সকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর। তিনি জানান, এই কমিটি আগামী ২ বছর দায়িত্ব পালন করবে। এবার ২১টি পদের বিপরীতে ৫৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মোট ভোটার ছিলেন ৬২৪ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫৫৮ জন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়।
এবার নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্যানেল তিনটি হলো ওমর সানি-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান এবং ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা। এর মধ্যে ওমর সানি–অমিত হাসান প্যানেল থেকে জয়লাভ করেছেন সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল আর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে জেসমিন, ফেরদৌস, মৌসুমী ও সুশান্ত। ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা প্যানেল থেকে শুধুমাত্র কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে জয়লাভ করেছেন নাসরিন। বাকি সবকটি পদেই জয়লাভ করেছেন মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। এবার ১৪তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।