নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক গ্রামের মানুষকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি দিতে প্রাণ সায়ের খালে দেওয়া সহ সকল বাধ কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। ৭দিন পানি নিস্কাশন অব্যাহত থাকবে। ৭দিন পর পানি নেমে গেলে পুনরায় বাধ নির্মাণ করে প্রাণ সায়র খাল খনন শুরু হবে।
রোববার বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশিষ চৌধুরি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে যান দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রির্পোটার কল্যাণ ব্যানার্জি, ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ। সে সময় এলাকার মানুষের দু:খ দুদর্শার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ডেইলি সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
উল্লেখ: প্রাণসায়র খাল পুন:খননের জন্য বাঁধ দেয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে সাতক্ষীরার লাবসা, বল্লী, ঝাউডাঙ্গা, আগরদাঁড়ি ও শিবপুর ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমের আগে বা পরে না বেঁধে ভরা বর্ষা মৌসুমে খালে বাঁধ দেয়ায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এঘটনায় এলাকাবাসী ২৬ সেপ্টেম্বর লাবসা ইউপি মেম্বর গোলাম কিবরিয়া বাবুর নেতৃত্বে মানববন্ধন করে প্রাণসায়ের খাল ভেঁড়িবাঁধ অপসারণের জোর দাবি জানান। এছাড়া সার্কিট হাউজে আগত জনপ্রশাসন সচিব ইউসুফ হারুনের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট