জাহাঙ্গীর আলম লিটন, কলারোয়া : কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের দরবাসা গ্রামের তরুণ দুইজন যুবক লেখাপড়া শেষ করে চাকুরির নামের সোনার হরিণ খুঁজে ব্যর্থ হয়ে নিজেরাই কৃষি কাজের উপর ঝুকেছেন পেয়েছেন সফলতা । বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে এমন ভাবনা থেকে ইউটিউব দেখে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে চাষ শুরু করেন ড্রাগন ফলের। বলছিলাম সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৮ নম্বর কেরালকাতা ইউনিয়নের দরবাসা গ্রামের ২ জন সফল তরুণ চাষী বাবু ও পরশের কথা।
ড্রাগন চাষী বাবু জানান, আমার এক একর জমিতে প্রতি বছরে দের থেকে দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে । প্রকল্প শুরু থেকে ব্যয় হয়েছে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা কিন্তু আশার বাণী বর্তমান ড্রাগন চাষের কোন খরচ নেই। এবারের আম্পান ঝড় বৃষ্টির কারণে লাভের হার কম হলেও আগামীতে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ এই চাষী।
তিনি আরও বলেন , আমি এক সময় বেকার ছিলাম তার পর ইউটিউব চ্যানেল থেকে ধারনা নিয়ে এবং দেশের বিভিন্ন ড্রাগন বাগান থেকে এই চাষ পদ্ধতি তে ড্রাগন চাষ শুরু করি এতে করে যেমন আমার বেকার জীবনের অবসান ঘটলো আবার বছর শেষে মোটা অংকের টাকা ঘরে আসছে ।
তিনি আরো জানান ,এই ড্রাগন ফল ২০০ গ্ৰাম থেকে ৩০০ গ্ৰাম ওজন হয় আর প্রতি কেজি ফল পাইকারি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বিক্রয় করছি ।
ড্রাগন চাষী পরশ বলেন, আমি অনেক জায়গায় চাকুরির জন্য দরখাস্ত করেছি কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছি । উপায়ন্তর না পেয়ে বেকারত্ব দূর করতে এই ড্রাগন ফল চাষ শুরু করি,তাতে আমি সফলতা পেয়েছি। আমি বলতে চাই আমাদের দেশে অনেক বেকার মানুষ আছে তারা যদি আমাদের মত নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে ড্রাগন ফল চাষ করে তাহলে আমাদের বেকারত্ব ও দুর হবে পাশাপাশি মোটা অংকের টাকা ও
উপার্জন করা সম্ভব।
তরুণ কিশোর আরও বলেন আমাদের এই ড্রাগন চাষের উপরে যদি সরকার ঋণের ব্যবস্থা করেন তাহলে আগামী বছর আরো আরো ৯৯ শতাংশ জমিতে ড্রাগন চাষ বেকার যুবকদের কৃষি পেষার ওপর দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকারের বিশেষ নজরদারি জন্য বলেন।