ডেস্ক রিপোর্ট: মুহূর্তেই যেন ঈদ আনন্দ, আপ্যায়ন-পরিবেশন সবই থমকে গেল। নানা রঙের ঝিকিমিকি আলোকসজ্জায় হঠাৎ চমকে দেওয়া আলো আঁধারের মধ্যে একটি বহুল পরিচিত মুখ। লম্বা ও পাতলা দেহ নিয়ে দণ্ডায়মান বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
সবার মুখে তখন ‘মুস্তাফিজ এসেছেন’। এগিয়ে গেলেন সবাই। তারপর কোলাকুলি আর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা। বুধবার রাত ৯টার এ খবর মুহূর্তে চাউর হয়ে গেল। শুরু হলো ছবি তোলার পালা। সেলফি তোলার ধুম। মুস্তাফিজ তাদের শুধুই হাসি উপহার দিলেন। প্রথমেই মুস্তাফিজকে স্বাগত জানালেন পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের সরকারি বাসভবনে নিমন্ত্রণ নিয়ে বসেছিল এক মিলনমেলা।
সাতক্ষীরার চারজন সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব পর্যায়ের অতিথি, আওয়ামী লীগের নেতা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, পৌর মেয়র, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতা, ক্রীড়ামোদী, শিক্ষাবিদ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সমাজসেবক, ধর্মীয় নেতা সবার মুখে তখন একই হাসি। মুস্তাফিজ আমাদের ছেলে। একই হাসি হাসলেন সাতক্ষীরার আরেক ক্রিকেট তারকা সৌম্য সরকারের বাবা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার।
আপ্যায়ন টেবিলে শ্বেতশুভ্র বসনে উপবেশন করলেন মুস্তাফিজ। সেই শিশুসুলভ হাসি আর এদিক ওদিক তাকানো। এভাবেই শুভেচ্ছা বিনিময়। কথায় কথায় বললেন, ঢাকায় যাব তাড়াতাড়িই। কারণ অনুশীলনে নামতে হবে। সামনেই খেলা। এরপর খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে অনেক কথা বললেন কাটার-মাস্টার। গ্রামে মায়ের পরশে এসে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু বেশি সময় মাকে দিতে পারেন না।
বিশ্বজয়ী এই ক্রিকেটার মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে গরু কোরবানি দিয়েছেন ত্যাগের মহিমায়। একই সময়ে নিজ গ্রাম কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া পশ্চিমপাড়া ঈদগাহের উন্নয়নে এক লাখ টাকাও দিয়েছেন তিনি। কোরবানির পর নিজ হাতে মাংস বিলিয়েছেন। আর সবার দোয়া চেয়েছেন ‘ফিজ’। পুলিশ সুপারের বাসভবনেও সবার কাছে বললেন, ‘আমার জন্য দোয়া করবেন।’
পূর্ববর্তী পোস্ট