তালা প্রতিনিধি: সরকারি খাল দখল করে নেট পাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়ে নিুঞ্চালের মানুষের মাঝে পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে ।
অসংখ্য মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা প্রস্তুত করতে পারছেন না কৃষকরা। বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তাই প্রবাহের ধারা অব্যাহত জলাবদ্ধতা নিরসনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের তেয়াশিয়া নদীতে থাকা সব অবৈধ নেট- পাটা (ঘন জাল) অপসারণসহ পরিষ্কার করা হচ্ছে খালের শেওলা ।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খলিষখালী ইউনিয়নের গাছা এলাকা থেকে নদীতে অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান ও সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান।
তাদের নেতৃত্বে নেট-পাটা অপসারণ কাজে অংশ নেন খলিষখালী ইউপি সদস্য পঙ্কজ রায়, ওসমান গনি, গনেশ বর্মণ, সরুলিয়া ইউপি সদস্য সদস্য নাজিমউদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ মন্ডল, অনিমেশ মন্ডল, মফিদুল ইসলাম, মোন্তাজ মোড়ল, আব্দুল গনি।
খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান জানান, তেয়াশিয়া নদী দিয়ে সরুলিয়া ও খলিষখালী ইউনিয়নের বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। তেয়াশিয়া নদীর পানি শালিখা গেট দিয়ে কপোতাক্ষ নদে পড়ে। কিন্তু সম্প্রতি জালালপুর ইউনিয়নের টিআরএম প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তেয়াশিয়া নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাই তেয়াশিয়া নদীতে অবৈধভাবে নেট-পাটা দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। এতে শেওলা জমে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সরুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিল ও জলাবদ্ধতা নিরসন ও কৃষকদের বোরো আবাদ নিশ্চিত করতে নদী ও খালের সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসারণ করা হচ্ছে।