রাজনীতির খবর : শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির স্লোগান নিয়ে জাতির পিতার হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭৩তম জন্মদিন।
ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের সব আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটি ৭৩ বছর পূর্ণ করলো আজ। ইতিহাস, ঐত্যিহ্যে বা বাংলাদেশের ইতিহাস মানে ছাত্রলীগের ইতিহাস-এরকম বিশেষণে বিশেষায়িত সংগঠনটির রয়েছে অনেক সমালোচনা। সংগঠনটির সাবেকরা বলছেন অনুপ্রবেশকারী সংগঠনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আর বর্তমান নেতৃত্ব বলছে মহামারি শেষে নতুন রূপে ফিরবে ছাত্রলীগ।
আওয়ামী লীগের জন্মের আগেই সেই ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি সময়ের প্রয়োজনেই গড়ে উঠে ছাত্রলীগ। ৫২’র ভাষা আন্দোলণ, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলণ, ৬৬ ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রলীগ ছিল অগ্রভাগে।
জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও ছাত্রলীগের ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে। এতকিছুর পরও আলোচনা-সমালোচনা ছাত্রলীগ ঘিরে। কেন বেপরোয়া হয়ে উঠার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মূল সংগঠন তিন মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন ধরনের অনুপ্রবেশকারী দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আর এসব অনুপ্রবেশকারীরাই বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।’ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সত্যিকারের একজন কর্মী কোনও অপরাধের সঙ্গে লিপ্ত হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউল আলম সোহাগ বলেন, ‘সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা আসতে পারে। কিন্তু, আমি মনে করি সেটা কাটিয়ে ওঠা একটা সংগঠনের জন্য কোনও ব্যাপার না। ছাত্রলীগকে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বা যুগোপযোগী কর্মসূচিতে ছাত্রলীগকে সক্রিয় থাকার কথাও জানান সোহাগ।
তবে, ২০২০ সালে মহামারির বছর। এই বছর ছাত্রলীগের মানবিক কার্যক্রম প্রশংসা কুড়িয়েছে। করোনার ধকল কাটিয়ে ছাত্রলীগকে আরও সাংগঠনিক করে তোলা বলে জানান বর্তমান ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সকল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখে দেয়ার আশ্বাস সংগঠনের বর্তমান নেতাদের।