নিজস্ব প্রতিনিধি : আদালতের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় জামায়াত কর্মী আবু আসলাম লাল্টুর জবরদখল করা সঞ্জয় সরদারের জমি চার দিন পর মুক্ত করলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিন।বুধবার সকালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ ও স্থ্নাীয় মানুষ এ জবরদখল মুক্ত করে।
বিষ্ণুপুর ইউপি সদস্য আফছার উদ্দিন ও গ্রাম পুলিশ আব্দুলাহ জানান, বিষ্ণুপুর মৌজায় পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় সাত বিঘা জমি বংশপরম্পরায় ভোগদখলীকার ছিলেন সঞ্জয় সরদার। পরবর্তীতে ওই জমি খাস হলে পরবর্তী বন্দোবস্ত দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে জামায়াত কর্মী আবু আসলাম লাল্টু মৌখিকভাবে নিয়ে বর্তমান জরিপে ভাই আকরাম হোসেন দোলনের নামে রেকর্ড করান। তবে দখল স্বত্ব সঞ্জয় সরদারের নামে থাকে। ওই জমি আকরাম হোসেনের পক্ষে তার ভাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী আবু আসলাম লাল্টু দখল করার চেষ্টা করলে সঞ্জয় বাদি হয়ে বাংলাদেশ সরকার, আকরাম হোসেনসহ ৩২জনকে বিবাদী করে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন। এরপরও আবু আসলাম ও আকরাম ওই জমি জবরদখল করার চেষ্টা করলে তিনি এডিএম কোর্টে মামলা করলে আদালতের রায় তার পক্ষে যায়। এর পরপরই একই আদালতে একই জমি নিয়ে লাল্টু বাদি হয়ে মামলা করলে তদন্ত প্রতিবেদন লাল্টুর বিপক্ষে যায়। এরপর লাল্টু বাদি হয়ে সঞ্জয়সহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেন।
একপর্যায়ে ২ জানুয়ারি আবু আসলাম লাল্টু, আকরাম হোসেন দোলনের নেতৃত্বে জামায়াত ও বিএনপি নেতা কর্মীরা ওই জমির একাংশে বেড়া ও নেট দিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় তাকেসহ চারজনকে মারপিট করে আহত করে। বিষয়টি উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় উপস্থাপিত হওয়ায় ৩ জানুয়ারি কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিন ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার ঘটনাস্থলে আসেন। তারা আবু আসলাম লাল্টুর জবরদখলের প্রতিবাদ করলে লাল্টু ৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে নেট ও বেড়া অপসারন করার প্রতিশ্রতি দেয়। এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে ১১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদে উভয়পক্ষকে নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু লাল্টু তার প্রতিশ্রতি না রাখায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিন এ বেড়া অপসারনের সিদ্ধান্ত নেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট