অনলাইন ডেস্ক : ভারতে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার পর ৪৪৭ জনের নানা ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এসব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, এবং বমিভাব।
এসব উপসর্গকে টিকাদানের বিরূপ প্রতিক্রিয়া যেটাকে অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাজেশন (এইএফআই) বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
যার সাথে সরাসরি টিকা বা টিকাদান প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
দেশটিতে শনিবার করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সারা দেশের তিন হাজার ছয়টি কেন্দ্রে একই সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তরপ্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতালের একজন কর্মী টিকা নেয়ার ২৪ ঘণ্টা পর মারা গেছেন।
তার বয়স ৪৬ বছর। জেলার প্রধান মেডিকেল অফিসার বলেছেন টিকা নেয়ার সাথে এই মৃত্যুর কোন সম্পর্ক নেই।
উত্তর প্রদেশের সরকার বলছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হার্ট এবং ফুসফুসের রোগজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
এদিকে কোলকাতায় ৩৫ বছর বয়সী একজন নার্স কোভিড ১৯ এর টিকা নেয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তবে তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তিনি টিকা নেয়ার পর অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন ঐ নার্স কেন অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন সেটা খতিয়ে দেখতে একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
দেশটিতে প্রথম দফায় চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স চালক, স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই-কর্মীরা টিকা পাবেন।
এর পরে পুলিশ, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এবং অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় টিকা পাবেন প্রায় তিন কোটি মানুষ।
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস এর একজন নিরাপত্তা কর্মী টিকা নেয়ার পর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ( আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
টিকা নেয়ার পর এই ব্যক্তির অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হয়। ২২ বছর বয়সী এই নিরাপত্তা কর্মী টিকাদানের প্রথম দিনে টিকা নেন।
যে সাড়ে চারশো লোকের মধ্যে টিকা নেওয়ার পর নানা ধরনের অসুস্থতার উপসর্গ দেখা গেছে, তাদের মধ্যে কারা কারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত ‘কোভিশিল্ড’ আর কারা ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়েছেন, সেই পরিসংখ্যান অবশ্য সরকার প্রকাশ করেনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা