জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হয়েছেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাই। ‘ব্যাখ্যাহীনভাবে’ সোনা ও হীরার গয়না মজুদের অভিযোগে তাদের ডেকে পাঠায় অধিদপ্তর।
তবে অবৈধভাবে মদ রাখা ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দাদের তলবে হাজির না হয়ে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসুস্থতার কথা বলে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন পাঠিয়েছেন।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার ও তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকার কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে হাজির হন। তবে এ সময় সাংবাদিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি।
অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিউর রহমান বলেন, “আমাদের পরিচালক একটি টিম করে দেবেন। ওই টিম আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।”
এদিকে একই সময়ে রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম আদনান হারুনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির ও রিয়াজ আহমেদ শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে এসে এক মাসের সময়ের আবেদন জমা দেন। পরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জাহাঙ্গীর কবির সাংবাদিকদের বলেন, সকালে হঠাৎ আদনান হারুনের ‘রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায়’ তিনি আসতে পারেননি।
“এ বিষয়টি জানিয়ে আমরা সময়ের আবেদন করেছিলাম। উনারা সময় মঞ্জুর করে ২৩ মে আসতে বলেছেন।” আগের দিনও রেইনট্রি হোটেলের সংবাদ সম্মেলনে আসা আদনানের অসুস্থতার বিষয়ে কোনো চিকিৎসা সনদ জমা দেওয়া হয়নি বলে জানান এই আইনজীবী।