কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে পিতার সম্পত্তি নিয়ে সালিশ মিমাংসায় শাহাজান আলী টুটুল (৪১) নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দিকে বসন্তপুর গ্রামে। আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মানাউল্লা শাহাজীর ছেলে।
অভিযোগ ও সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ মানাউল্লা শাহাজীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে। তাদের মধ্যে ছেলে ওসমান ও গফুর পিতাকে খেতে পরতে না দিয়ে ভয় দেখিয়ে অন্য সন্তানদের ফাঁকি দিতে দীর্ঘ তিন যাবৎ বেশ কিছু সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। বিষয়টি মিমাংশার স্বার্থে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বাড়িতেই গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে অন্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক রবীন্দ্র চন্দ্র লস্কর, পশু চিকিৎসক পঞ্চানন দাশ, আব্দুল গফ্ফারসহ এলাকার বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সালিশ বৈঠকে ছোট ভাই ওসমান আলী ও গফুর আলী বড় ভাই শাহাজান আলীকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। সালিশে উপস্থিত সকলে বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে বলেন, প্রায় শতবর্ষী বৃদ্ধ মানাউল্লা শাহাজীকে খেতে পরতে না দিয়ে ছেলে ওসমান ও গফুর অন্য ভাই বোনদের ফাঁকি দিতে সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য চেষ্ঠা চালিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে সালিশ মিমাংসা চলাকালিন বড় ভাইকে মারপিট করেছে এটা চরম অপরাধ। এ বিষয় সম্পর্কে সহোদর ছোট ভাই গফুর বলেন, সালিশে সামান্য ঠেলাঠেলি হয়েছিল বড় ভাইকে আমি মারিনি। আরেক সহোদর ওসমান আলী বলেন, সালিশ মিমাংশায় কথা কাটাকাটির মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। তবে বড় ভাইয়ের সাথে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুস সালাম গাইন বলেন, সালিশ মিমাংসায় পূর্বেই কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয়পক্ষ মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি। থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।