নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা নিজের অমতে বিবাহ দেওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন এক শিক্ষার্থী।
নবমিতা মন্ডল(২০)সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নে তেঁতুলডাঙ্গা গ্রামের স্বরজিত মন্ডলের কন্যা ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের এইচ এস সি ১ম বর্ষের ছাত্রী।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার গভীর রাতে পরিবারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার করে নবমিতা।
জানা গেছে, খুলনা জেলার কয়রা থানার শ্রীহমিতলা গ্রামের হিরময় বর্মার পুত্র পরিমল বর্মার সাথে কিছু দিন আগে নবমিতার পরিবারের লোকজন কোট রেজিস্ট্রী করে বিয়ে দেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আগামী ইং( ১লা মার্চ) সোমবার তাকে বাড়িতে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু তার আগে নববধূ নবমিতা ম-ল পরিবারের উপর অভিমান করে শুক্রবার গভীর রাতে সকলের অগোচরে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে নিজে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয় । এ ব্যাপারে স্বামী পরিমল বর্মা জানান, বিয়ের পর থেকে সে আমার সাথে কোন যোগাযোগ করতো না। আমি মোবাইলে ম্যাসেজ বা রিং দিলে কোন উত্তর দিতো না। আমাকে এড়িয়ে চলতো।
এ ব্যাপারে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিয়াতুল্লাহ জানান, তার সাথে কারও প্রেমের সম্পর্কে ছিলো বলে মনে হয়। কেননা নবমিতা ম-লের ঘর থেকে তার হাতের লেখা কয়েক খ-ের একটি চিরকুট ইটের ফাঁকে পাওয়া গেছে। একাধিক টুকরো থাকার কারণে সবটুকু ভাল ভাবে বুঝা না গেলোও রুদ্র নামে একটি কথা খুবই স্পষ্টভাবে লেখা ছিলো। একাধিক সূত্র জানাই, কলেজ ছাত্রীর অমতে পরিবারের লোকজন বিয়ে দেওয়ায় এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু, ইউপি সদস্য বিপ্লব বিশ্বাস,আনিছুর রহমান, ইউপি সদস্যা আনজ্ঞুরা বেগম প্রমুখ। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাহ করার অনুমতি দেওয়া হয় বলে থানা সুত্রে জানা যায়।
সাতক্ষীরায় অমতে বিয়ে দেওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পূর্ববর্তী পোস্ট