যুক্তরাজ্যের লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর সাবিনা আক্তার নতুন স্পিকার নিযুক্ত হয়েছেন। টাওয়ার হ্যামলেটসে প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে তিনি এই দায়িত্ব লাভ করলেন। গত টার্মে তিনি ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। একই সঙ্গে নতুন ডেপুটি স্পিকার হয়েছেন কাউন্সিলর আয়াস মিয়া। আয়াস মিয়া ইতিপূর্বে এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার ছিলেন। তারা দুজন ২০১৭-১৮ মিউনিসিপ্যাল বছরে এই দায়িত্ব পালন করবেন।
গত বুধবার (১৭ মে) রাতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের এজিএমে তারা নির্বাচিত হন। এজিএমে টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস এই দুই পদে তাদের নাম প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাবটি সমর্থন করেন ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর র্যাচেল সন্ডার্স।
তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এদিকে মেয়র জন বিগসের কেবিনেটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেবিনেটে নতুন করে যোগ দিয়েছেন কাউন্সিলর আবদুল মুকিত চুনু এমবিই ও কাউন্সিলর আমিনা আলী।
আবদুল মুকিত চুনুকে কালচার অ্যান্ড ইয়ুথ ও আমিনা আলীকে এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে কালচারাল বিষয়ক লিড মেম্বার ছিলেন কাউন্সিলর আসমা বেগম। তাকে দেওয়া হয়েছে কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারের দায়িত্ব।
ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর র্যাচেল সন্ডার্সের দায়িত্বও পরিবর্তন হয়েছে। তার নতুন দায়িত্ব হচ্ছে হেলথ অ্যান্ড এডাব্ব সার্ভিস। সোমালি টাস্কফোর্স বাস্তবায়নও তার অধীনে থাকবে। তিনি এত দিন এডুকেশন অ্যান্ড চিলড্রেন সার্ভিসের দায়িত্বে ছিলেন। অপর ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর শিরিয়া খাতুন চলে গেছেন ব্যাক বেঞ্চে। এর আগে তিনি ডেপুটি মেয়র ও কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার ছিলেন।
শিরিয়া খাতুন ব্যাক বেঞ্চে চলে যাওয়ার কারণে তিনজনের পরিবর্তে এখন দুজন ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। স্ট্যাটিটিউরি ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি হাউজিংয়ের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। ফেইথ কমিউনিটি, ওয়েলফেয়ার রিফর্ম রেসপন্স ও কমিউনিটি ল্যাংগুয়েজ সার্ভিসের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো।