অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী গণ-আন্দোলনকে ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অসলোর সামাজিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান স্টোকসহ আরও পাঁচ শিক্ষাবিদ এই মনোনয়ন দেন। খবর এএফপির।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে স্টোক বলেন, এই আন্দোলন ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে ক্ষমতা গ্রহণকারী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার এক উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গণসংহতি, যা প্রায় সহিংসতা ছাড়াই করা হচ্ছে।’ ‘গণতন্ত্রপন্থি এই আন্দোলন, বিশেষত সফল হলে তা মিয়ানমারের বাইরেও প্রভাব তৈরি করতে পারে’, যোগ করেন স্টোক।
তিনি বলেন, ‘যা গুরুত্বপূর্ণ এবং আশার ঝলক দেখায় তা হলো, সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে যা শুরু হয়েছিল, তা বার্মিজ সমাজের মধ্যে অনেকগুলো জায়গায় বিশেষত নৃগোষ্ঠীর এক বিস্তৃত জোটে পরিণত হয়েছে।’ নরওয়ের নোবেল কমিটি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণ করে। তাই স্টোকের এই মনোনয়ন আগামী বছরের পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।